আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদানগুলি

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায়: ইতিহাসের ধারণা হতে আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদানগুলি আলোচনা করা হল।

Table of Contents

আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদানগুলি

প্রশ্ন:- আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদানগুলি কী কী?

ভূমিকা :- আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের বিশেষ অভাব নেই। এই উপাদানগুলিকে চার ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা –

(১) সরকারি নথিপত্র

ব্রিটিশ শাসনকালে সরকারি নথিপত্রগুলি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে রাখা হত। এইসব নথিপত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বিভিন্ন সরকারি চিঠিপত্র; পুলিশ, গোয়েন্দা ও সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন; সরকারি ব্যক্তিদের বিবরণ প্রভৃতি। এইসব নথিপত্র ঘেঁটে কোনো ঘটনা বা বিষয় সম্পর্কে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি জানা যায় এবং তা ইতিহাস রচনার কাজে ব্যবহার করা সম্ভব হয়।

(২) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা

বিভিন্ন ব্যক্তির লেখা আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা প্রভৃতিতে আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার বহু মূল্যবান তথ্য পাওয়া যায়। এই প্রসঙ্গে বিপিনচন্দ্ৰ পালের ‘সত্তর বৎসর’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জীবনস্মৃতি’, মহাত্মা গান্ধির ‘দ্য স্টোরি অব মাই এক্সপেরিমেন্ট উইথ দ্য ট্রুথ’, সুভাষচন্দ্র বসুর ‘অ্যান ইন্ডিয়ান পিলগ্রিম’, জওহরলাল নেহরুর ‘অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’সরলাদেবী চৌধুরানীর ‘জীবনের ঝরাপাতা’প্রভৃতিগ্ৰন্থ বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

(৩) চিঠিপত্র

বিভিন্ন ব্যক্তির লেখা চিঠিপত্র আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার গুরত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রে টিপু সুলতান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, সুভাষচন্দ্র বসু, জওহরলাল নেহরু প্রমুখের লেখা চিঠিপত্র বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

(৪) সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র

সমকালীন বিভিন্ন সাময়িকপত্র ওসংবাদপত্র আধুনিক ভারতের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে স্বীকৃত হয়। বেঙ্গল গেজেটপত্রিকা, দিগদর্শনপত্রিকা, সমাচার দর্পণ পত্রিকা, সংবাদ কৌমুদি পত্রিকা, সমাচার চন্দ্রিকাপত্রিকা, সংবাদ প্রভাকরপত্রিকা, বঙ্গদর্শনপত্রিকা, হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকা, কেশরী পত্রিকা প্রভৃতি আধুনিক ভারতের ইতিহাসের নানা তথ্য সরবরাহ করে থাকে।

উপসংহার :- আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদানের প্রায় সবগুলিই লিখিত উপাদান। সংখ্যায় এবং বৈচিত্র্যে এগুলির অধিক সংখ্যায় প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার কাজকে অনেক সহজ করে তুলেছে।

সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

১.১. আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈচিত্র্য

(১.১.ক.) নতুন সামাজিক ইতিহাস

(১.১.খ.) খেলার ইতিহাস

(১.১.গ.) খাদ্যাভাসের ইতিহাস

(১.১.ঘ.) শিল্পচর্চার ইতিহাস (সংগীত, নৃত্য, নাটক, চলচ্চিত্র)

(১.১.ঙ.) পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস

(১.১.চ.) যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস

(১.১.ছ.) দৃশ্য শিল্পের ইতিহাস (ছবি আঁকা, ফোটোগ্রাফি)

(১.১.জ.) স্থাপত্যের ইতিহাস

(১.১.ঝ.) স্থানীয় ইতিহাস

(১.১.ঞ.) শহরের ইতিহাস

(১.১.ট.) সামরিক ইতিহাস

(১.১.ঠ.) পরিবেশের ইতিহাস

(১.১.ড.) বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাস

(১.১.ঢ.) নারী ইতিহাস

এইসব ইতিহাসচর্চার ধারার মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ অতিসংক্ষিপ্ত আলোচনা করে ইতিহাসের বিভিন্ন দিকের ধারণা।(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

১.২. আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদান ব্যবহারের পদ্ধতি

(১.২.ক.) সরকারি নথিপত্র (পুলিশ/গোয়েন্দা/সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন/ বিবরণ/চিঠিপত্র)

(১.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা {সত্তর বৎসর (বিপিনচন্দ্র পাল), জীবনস্মৃতি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর), জীবনের ঝরাপাতা (সরলা দেবী চৌধুরাণী)}

(১.২.গ.) চিঠিপত্র {ইন্দিরা গান্ধিকে লেখা জওহরলাল নেহরুর চিঠি (Letters from a Father to His Daughter)}

(১.২.ঘ.) সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র (বঙ্গদর্শন এবং সোমপ্রকাশ)

টুকরো কথা

আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চায় ফোটোগ্রাফের ব্যবহার। ইতিহাসের তথ্যসংগ্রহে ইনটারনেট ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা।

উপরের উপাদানগুলি ব্যবহারের পদ্ধতি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত আলোচনা (আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

Leave a Comment