ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনে অন্ধ্রপ্রদেশ কে নিয়ে কি সমস্যা

দশম শ্রেণীর ইতিহাস অষ্টম অধ্যায়-উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪) হতে ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনে অন্ধ্রপ্রদেশ কে নিয়ে কি সমস্যা হয়েছিল তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনে অন্ধ্রপ্রদেশ কে নিয়ে কি সমস্যা

প্রশ্ন:- ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনে অন্ধ্রপ্রদেশ কে নিয়ে কি সমস্যা হয়েছিল?

ভূমিকা :- বিশাল দেশ ভারতবর্ষে বহু ভাষাভাষী মানুষ পাশাপাশি বসবাস করে। ব্রিটিশ আমলের রাজ্যসীমানা স্বাধীন ভারতের পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য বদলাতে হয়। এর অন্যতম কারণ ছিল ভাষা ও সংস্কৃতির প্রেক্ষিতে রাজ্যসীমা পরিবর্তনের আন্দোলন।

ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবিতে আন্দোলন

গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় প্রশাসনিক কাজে স্থানীয় ভাষার ব্যবহার করলে সুবিধা হবে এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই ভারতের বিভিন্ন অংশে ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবিকে কেন্দ্র করে আন্দোলন গড়ে ওঠে।

আন্দোলনের পটভূমি

১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের জয়পুর অধিবেশনে ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের আলোচনার সাপেক্ষে বিচারপতি এস কেদর-এর নেতৃত্বে দরকমিশন গঠিত হয়। এইকমিশন ভাষাভিত্তিক প্রদেশ গঠনের বিরোধিতা করলে সারা ভারত জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়।

অন্ধ্র অঞ্চলে আন্দোলন

ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের ক্ষেত্রে প্রথম তামিল ভাষা অধ্যুষিত মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি থেকে তেলুগু ভাষাভাষী অন্ধ্র অঞ্চলকে পৃথকীকরণের দাবি ওঠে। এই দাবিকে গুরুত্ব না দিলে গান্ধিবাদী নেতা পাত্তি শ্রীরামালু অনশন শুরু করেন। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ১৯ অক্টোবর ৫৮ দিন অনশনের পর তার মৃত্যু হয়।

অন্ধ্রপ্রদেশ গঠন

পাত্তি শ্রীরামালুর মৃত্যুর সাথে সাথে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির ১১ টি জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকার ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ডিসেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ১ অক্টোবর তামিলভাষীদের নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তেলুগু ভাষীদের নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ গঠিত হয়।

উপসংহার :- এইভাবে ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার দাবিতে রাজ্য গঠনের জন্য গণ আন্দোলন শুরু হয়। সরকারের সদিচ্ছায় নতুন রাজ্যের সৃষ্টি হয় এবং পুরোনো রাজ্যের সীমানা পরিবর্তিত হয়।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস অষ্টম অধ্যায়: উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪)

৮.১. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত-ভুক্তির উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৭ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃ ও বহির্সীমানা চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

কাশ্মীর প্রসঙ্গ
হায়দ্রাবাদের অন্তর্ভুক্তি

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময় সারণি)

৮.২. ১৯৪৭ সালের পরবর্তী উদবাস্তু সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(৮.২.ক.) উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান ও বিতর্ক
(৮.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

৮.৩. ভাষার ভিত্তিতে ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৮ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃমানচিত্র চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ও আইন (১৯৫৫-১৯৫৬)

সংবিধানে স্বীকৃত ভাষাসমূহ (১৯৬৪ পর্যন্ত)

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

Leave a Comment