টীকা লেখো:দেশবিভাগ (১৯৪৭) জনিত উদ্‌বাস্তু সমস্যা

দশম শ্রেণীর ইতিহাস অষ্টম অধ্যায়-উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪) হতে দেশবিভাগ (১৯৪৭) জনিত উদ্‌বাস্তু সমস্যা সম্পর্কে টীকা দেওয়া হল।

Table of Contents

দেশবিভাগ (১৯৪৭) জনিত উদ্‌বাস্তু সমস্যা সম্পর্কে টীকা

প্রশ্ন:- টীকা লেখো: দেশবিভাগ (১৯৪৭) জনিত উদ্‌বাস্তু সমস্যা।

ভূমিকা :- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের পর পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের শিকার হয়ে লক্ষ লক্ষ হিন্দু, শিখ প্রভৃতি ধর্মের মানুষ উদ্‌বাস্তু হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়।

ভারতের তীব্র সংকট

পাকিস্তান থেকে আগত লক্ষ লক্ষ উদ্‌বাস্তুর অর্থনৈতিক দায়দায়িত্ব গ্রহণ করা সদ্যস্বাধীন ভারতেরপক্ষে খুবই কঠিন সমস্যার সৃষ্টি করে। ফলে উদ্‌বাস্তু সমস্যা ভারতে এক গভীর সংকট তৈরি করে।

সংকটের কেন্দ্রবিন্দু

ভারতে উদ্‌বাস্তু সমস্যা সবচেয়ে গভীর আকার নেয় পাঞ্জাব এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। কারণ, এই দুই রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক উদ্‌বাস্তু আশ্রয় নেয়।

দাঙ্গা

এই সময় লুন্ঠন, বাড়িতে আগুন লাগানো, মাঠের ফসল নষ্ট প্রভৃতি অবাধে চলে। উভয় দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বহু নারী নির্যাতনের শিকার হয়।ধর্ষণ, অপহরণ প্রভৃতি ঘটনা অবাধে চলে।

পাঞ্জাবের পরিস্থিতি

দেশভাগের সঙ্গে সঙ্গে পাঞ্জাবে অল্পকয়েক বছরের মধ্যে বিপুল সংখ্যক উদ্‌বাস্তু আশ্রয় নেয়। ভারত সরকার পাঞ্জাবের উদ্‌বাস্তুদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিলে পাঞ্জাবের উদ্‌বাস্তু সমস্যার কিছুটা সমাধান হয়।

পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু করে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে পূর্ববঙ্গের বিপুল সংখ্যক উদ্‌বাস্তু পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেয়। তবে পাঞ্জাবের উদ্বাস্তুদের মতো ত্রাণ ও পুনর্বাসনের সুন্দর ব্যবস্থা বাঙালি উদ্‌বাস্তুরা পায়নি। ফলে অধিকাংশ উদ্‌বাস্তুকে বিভিন্ন উদ্‌বাস্তু শিবির, ফুটপাত, রেলস্টেশন প্রভৃতি স্থানে আশ্রয় নিয়ে দিন কাটাতে হয়। বহু উদ্বাস্তুকে বহু দূরে দণ্ডকারণ্য, আন্দামান প্রভৃতি স্থানে পুনর্বাসনে পাঠানো হয়।

দিল্লি চুক্তি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকৎ আলি খাঁ -র মধ্যে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ‘দিল্লি চুক্তি’ বা ‘নেহরু-লিয়াকৎ চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়।চুক্তি অনুযায়ী ঠিক হয়যে, সংখ্যালঘু শ্রেণি নিজ রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকবে এবং নিজের রাষ্ট্রের কাছে যে-কোনো সমস্যার প্রতিকার চাইবে।

উপসংহার :- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং পাঞ্জাব প্রদেশে সবচেয়ে বেশি উদ্‌বাস্তু আশ্রয় নেয়। তাদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলে সেই দুর্দশার কবল থেকে নিঃস্ব, রিক্ত উদ্‌বাস্তুরা অনেকটা মুক্তি পায়।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস অষ্টম অধ্যায়: উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (১৯৪৭-১৯৬৪)

৮.১. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারত-ভুক্তির উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৭ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃ ও বহির্সীমানা চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

কাশ্মীর প্রসঙ্গ
হায়দ্রাবাদের অন্তর্ভুক্তি

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময় সারণি)

৮.২. ১৯৪৭ সালের পরবর্তী উদবাস্তু সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(৮.২.ক.) উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান ও বিতর্ক
(৮.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় দেশভাগ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

৮.৩. ভাষার ভিত্তিতে ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের উদ্যোগ ও বিতর্ক

(১৯৪৮ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের দুটি মানচিত্র ব্যবহার করে আলোচ্য পরিপ্রেক্ষিতে ভারত রাষ্ট্রের পরিবর্তিত আন্তঃমানচিত্র চিহ্নিত করতে হবে)

টুকরো কথা

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ও আইন (১৯৫৫-১৯৫৬)

সংবিধানে স্বীকৃত ভাষাসমূহ (১৯৬৪ পর্যন্ত)

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য ঘটনাগুলির সময়সারণি)

Leave a Comment