দৃশ্যশিল্পের শাখা হিসেবে নৃত্যশিল্পের ইতিহাসচর্চা সম্পর্কে আলোচনা

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায়: ইতিহাসের ধারণা হতে দৃশ্যশিল্পের শাখা হিসেবে নৃত্যশিল্পের ইতিহাসচর্চা সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

Table of Contents

দৃশ্যশিল্পের শাখা হিসেবে নৃত্যশিল্পের ইতিহাসচর্চা সম্পর্কে আলোচনা

প্রশ্ন:- দৃশ্যশিল্পের শাখা হিসেবে নৃত্যশিল্পের ইতিহাসচর্চা সম্পর্কে আলোচনা করো।

ভূমিকা :- মানবসমাজে শিল্পচর্চার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধারা হল নৃত্যকলা। সুপ্রাচীনকাল থেকেই নৃত্যকলা বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীর সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান হিসেবে চলে আসছে।

ধৰ্মীয় ক্ষেত্রে নৃত্যকলা

প্রাচীন ভারতে ধর্মীয় ক্ষেত্রে নৃত্যকলার প্রচলন থাকলেও এই নৃত্যকলার সঙ্গে একমাত্র সমাজের উচ্চবর্গের যোগ ছিল, সাধারণ মানুষের কোনো ভূমিকা ছিল না। বিভিন্ন মন্দিরে দেবদাসীদের নৃত্য ব্রাহ্মণ ও উচ্চবর্গীয় মানুষের উপভোগ্য ছিল। নৃত্যকলা থেকে সেই যুগের সামাজিক বৈষম্যের পরিচয়ও পাওয়া যায়।

বিবর্তন

যুগে যুগে নৃত্যকলার বিবর্তন ঘটেছে। প্রাচীনকালের ধর্মীয় বন্ধন থেকে নৃত্যকলা মুক্তিলাভ করে ধীরে ধীরে তা সাধারণ মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পদ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে উচ্চবর্গের নৃত্যের পাশাপাশি আদিবাসী-সহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের নৃত্যও সমাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

বৈচিত্র্য

সাম্প্রতিক কালে প্রতিটি সমাজের নৃত্যকলাতেই নানা বৈচিত্র্য এসেছে। কত্থক, ভরতনাট্যম, ছৌ, কুচিপুরী, কথাকলি, গৌড়ীয় নৃত্য প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের নৃত্যের সমন্বয়ে ভারতের নৃত্যকলার ভাণ্ডার বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উদয়শঙ্কর, অমলাশঙ্কর, রুক্মিনী দেবী, মল্লিকা সারাভাই, বিরজু মহারাজ, অনিতা রত্নম-সহ বিভিন্ন নৃত্যশিল্পী এই বৈচিত্র্য বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছেন।

নৃত্যকলার ইতিহাস চর্চা

বিংশ শতকের দ্বিতীয় ভাগ থেকে নৃত্যকলার ইতিহাসচর্চা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল ওয়াং কেফেনের “দ্য হিস্ট্রি অব চাইনিজ ড্যান্স’, রাগিনী দেবীর ‘ড্যান্স ডায়ালেক্ট অব ইণ্ডিয়া’, আকৃতি সিন্হার ‘লেট’স নো ড্যান্সেস অব ইন্ডিয়া’, শোভনা গুপ্তার ‘ড্যান্স অব ইন্ডিয়া’, গায়ত্রী চট্টোপাধ্যায়ের ‘ভারতের নৃত্যকলা’ ইত্যাদি।

উপসংহার :- মানব ইতিহাসে সংস্কৃতির বিবর্তন ও বৈচিত্র্যকে তুলে ধরার কাজে নৃত্যশিল্পের ইতিহাসচর্চা আজ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নৃত্যশিল্পের ইতিহাস চর্চার দ্বারা সাংস্কৃতিক ইতিহাসের গতিপ্রকৃতি জানা সম্ভব হচ্ছে।

সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

১.১. আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈচিত্র্য

(১.১.ক.) নতুন সামাজিক ইতিহাস

(১.১.খ.) খেলার ইতিহাস

(১.১.গ.) খাদ্যাভাসের ইতিহাস

(১.১.ঘ.) শিল্পচর্চার ইতিহাস (সংগীত, নৃত্য, নাটক, চলচ্চিত্র)

(১.১.ঙ.) পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস

(১.১.চ.) যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস

(১.১.ছ.) দৃশ্য শিল্পের ইতিহাস (ছবি আঁকা, ফোটোগ্রাফি)

(১.১.জ.) স্থাপত্যের ইতিহাস

(১.১.ঝ.) স্থানীয় ইতিহাস

(১.১.ঞ.) শহরের ইতিহাস

(১.১.ট.) সামরিক ইতিহাস

(১.১.ঠ.) পরিবেশের ইতিহাস

(১.১.ড.) বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাস

(১.১.ঢ.) নারী ইতিহাস

এইসব ইতিহাসচর্চার ধারার মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ অতিসংক্ষিপ্ত আলোচনা করে ইতিহাসের বিভিন্ন দিকের ধারণা।(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

১.২. আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদান ব্যবহারের পদ্ধতি

(১.২.ক.) সরকারি নথিপত্র (পুলিশ/গোয়েন্দা/সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন/ বিবরণ/চিঠিপত্র)

(১.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা {সত্তর বৎসর (বিপিনচন্দ্র পাল), জীবনস্মৃতি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর), জীবনের ঝরাপাতা (সরলা দেবী চৌধুরাণী)}

(১.২.গ.) চিঠিপত্র {ইন্দিরা গান্ধিকে লেখা জওহরলাল নেহরুর চিঠি (Letters from a Father to His Daughter)}

(১.২.ঘ.) সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র (বঙ্গদর্শন এবং সোমপ্রকাশ)

টুকরো কথা

আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চায় ফোটোগ্রাফের ব্যবহার। ইতিহাসের তথ্যসংগ্রহে ইনটারনেট ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা।

উপরের উপাদানগুলি ব্যবহারের পদ্ধতি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত আলোচনা (আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

Leave a Comment