সাম্প্রতিককালে দৃশ্যশিল্পের ইতিহাসে নাটকের ইতিহাসচর্চা কীভাবে কীরূপ গুরুত্বপূর্ণ

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায়: ইতিহাসের ধারণা হতে সাম্প্রতিককালে দৃশ্যশিল্পের ইতিহাসে নাটকের ইতিহাসচর্চা কীভাবে কীরূপ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

সাম্প্রতিককালে দৃশ্যশিল্পের ইতিহাসে নাটকের ইতিহাসচর্চা কীভাবে কীরূপ গুরুত্বপূর্ণ

প্রশ্ন:- সাম্প্রতিককালে দৃশ্যশিল্পের ইতিহাসে নাটকের ইতিহাসচর্চা কীভাবে কীরূপ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে?

ভূমিকা :- প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন সভ্যতায় নাট্যশিল্প তথা নাটকের প্রচলন ছিল। সুপ্রাচীন গ্রিক সভ্যতায় প্রচলিত বিখ্যাত নাটকগুলি আজও বিভিন্ন দেশে অভিনীত হলে তা দর্শকদের মনে বিস্ময়ের সৃষ্টি করে।

ইউরোপে নাট্যচর্চা

প্রাচীনকালে ইউরোপে নাট্যচর্চার প্রচলন থাকলেও ইউরোপে আধুনিক নাট্যচর্চা বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতকে। ইউরোপে শেকসপিয়ার, ক্রিস্টোফার মার্লো, বেন জনসন, জর্জ বার্নার্ড শ প্রমুখের লেখা বিভিন্ন নাটক মধ্যস্থ হলে সেগুলি প্রবল জনপ্রিয়তা লাভ করে।

বাংলায় নাট্যচর্চা

অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতকে ভারতে বিশেষ করে বাংলায় আধুনিক নাট্যচর্চার প্রসার ঘটে। অষ্টাদশ শতকের শেষদিকে বাংলা নাট্যচর্চার সূচনা হয় এবং ঊনবিংশ শতকে এর ব্যাপক প্রসার ঘটে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, বীজন ভট্টাচার্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, শিশির ভাদুড়ী, শম্ভু মিত্র, উৎপল দত্ত প্রমুখ বাংলা নাটকে অসামান্য অবদান রাখেন।

মানুষের প্রতিচ্ছবি

বিভিন্ন দেশ বা সমাজে প্রচলিত নাটকগুলিতে সেখানকার সমকালীন ঘটনাবলি, শোষণ, বঞ্চনা, অত্যাচার, বৈষম্য, সাম্রাজ্যবাদ, জাতীয়তাবাদ প্রভৃতি কাহিনি উঠে আসে। ফলে নাটক সেই সমাজের যথাযথ প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠতে পারে। আবার অনেক সময়ই নাটক লোকশিক্ষা ও জনমত গঠনে সহায়ক হয়ে ওঠে।

গবেষণা

সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন গবেষক যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নাটকের ইতিহাসচর্চা করছেন। ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বর্গীয় নাট্যশালার ইতিহাস, সত্যজীবন মুখোপাধ্যায়ের দৃশ্যকাব্য পরিচয়’, আশুতোষ ভট্টাচার্যের ‘বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাস’, সাইমন জাকারিয়ার ‘বাংলাদেশের লোকনাটক: বিষয় ও আঙ্গিক-বৈচিত্র্য’, বালদুন ধিংরার ‘ন্যাশনাল থিয়েটার ফর ইন্ডিয়া’ প্রভৃতি এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।

উপসংহার:- সাম্প্রতিককালে নাটকের ইতিহাসচর্চা নতুন সামাজিক ইতিহাসচর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে উঠেছে। এর মধ্য দিয়েমানবসভ্যতার আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিকগুলি ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে।

সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

১.১. আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈচিত্র্য

(১.১.ক.) নতুন সামাজিক ইতিহাস

(১.১.খ.) খেলার ইতিহাস

(১.১.গ.) খাদ্যাভাসের ইতিহাস

(১.১.ঘ.) শিল্পচর্চার ইতিহাস (সংগীত, নৃত্য, নাটক, চলচ্চিত্র)

(১.১.ঙ.) পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস

(১.১.চ.) যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস

(১.১.ছ.) দৃশ্য শিল্পের ইতিহাস (ছবি আঁকা, ফোটোগ্রাফি)

(১.১.জ.) স্থাপত্যের ইতিহাস

(১.১.ঝ.) স্থানীয় ইতিহাস

(১.১.ঞ.) শহরের ইতিহাস

(১.১.ট.) সামরিক ইতিহাস

(১.১.ঠ.) পরিবেশের ইতিহাস

(১.১.ড.) বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাস

(১.১.ঢ.) নারী ইতিহাস

এইসব ইতিহাসচর্চার ধারার মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ অতিসংক্ষিপ্ত আলোচনা করে ইতিহাসের বিভিন্ন দিকের ধারণা।(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

১.২. আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদান ব্যবহারের পদ্ধতি

(১.২.ক.) সরকারি নথিপত্র (পুলিশ/গোয়েন্দা/সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন/ বিবরণ/চিঠিপত্র)

(১.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা {সত্তর বৎসর (বিপিনচন্দ্র পাল), জীবনস্মৃতি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর), জীবনের ঝরাপাতা (সরলা দেবী চৌধুরাণী)}

(১.২.গ.) চিঠিপত্র {ইন্দিরা গান্ধিকে লেখা জওহরলাল নেহরুর চিঠি (Letters from a Father to His Daughter)}

(১.২.ঘ.) সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র (বঙ্গদর্শন এবং সোমপ্রকাশ)

টুকরো কথা

আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চায় ফোটোগ্রাফের ব্যবহার। ইতিহাসের তথ্যসংগ্রহে ইনটারনেট ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা।

উপরের উপাদানগুলি ব্যবহারের পদ্ধতি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত আলোচনা (আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

Leave a Comment