ইন্দিরা গান্ধিকে লেখা জওহরলাল নেহরুর চিঠিগুলির গুরুত্ব

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায়: ইতিহাসের ধারণা হতে ইন্দিরা গান্ধিকে লেখা জওহরলাল নেহরুর চিঠিগুলির গুরুত্ব কি ছিল তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

ইন্দিরা গান্ধিকে লেখা জওহরলাল নেহরুর চিঠিগুলির গুরুত্ব

প্রশ্ন:- ইন্দিরা গান্ধিকে লেখা জওহরলাল নেহরুর চিঠিগুলির গুরুত্ব কি ছিল?

ভূমিকা :- ভারতের আধুনিক ইতিহাস -এর উপাদান হিসেবে ব্যক্তিগত চিঠিপত্রকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এরুপ ব্যক্তিগত চিঠিপত্রের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হল পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু কর্তৃক কন্যা ইন্দিরা গান্ধীকে লেখা ‘লেটার্স ফ্রম আ ফাদার টু হিজ ডটার’।

চিঠিপত্র সেন্সর

গ্রন্থটির ভূমিকা থেকে জওহরলাল নেহেরুর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও কারাবরণের কথা যেমন জানা যায়, ঠিক তেমনই সেই সময় কারাগারে জেল বন্দির ঘন ঘন যে চিঠি লেখা যেত না সে সম্পর্কেও অনেক তথ্য পাওয়া যায়।

পিতার উপদেশ

স্বাধীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু (প্রথম) ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে এলাহাবাদ জেল থেকে মহীশূরে তাঁর ১০ বছরের কন্যা ইন্দিরা গান্ধিকে অসংখ্য চিঠি লিখেছিলেন। এর মধ্যে ৩০টি চিঠির একটি সংকলন পরবর্তীকালে ‘Letters from a Father to His Daughter’ শিরোনামে এলাহাবাদ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এই চিঠির সংকলন হল কন্যার প্রতি একজন স্নেহময় পিতার অমূল্য তত্ত্বাবধান ও উপদেশ।

অর্থনৈতিক দুর্দশা

এই চিঠিতে তিনি ভারত -এর অর্থনৈতিক বৈষম্য, খাদ্য সংকট, গরিবি প্রভৃতি ভারতবর্ষের বিভিন্ন দিক ও তার কারণও তুলে ধরেন।

উদ্দেশ্য

জওহরলাল নেহরু তাঁর কন্যা ইন্দিরাকে আমাদের বিশ্বের বিভিন্ন বিস্ময়, প্রাকৃতিক ইতিহাস এবং সভ্যতার গল্প শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে এই সব চিঠি লিখেছিলেন।

সভ্যতার প্রতিষ্ঠা

বুদ্ধি কীভাবে মানুষকে অন্যান্য প্রাণীদের থেকে চতুর ও শক্তিশালী করে তুলে, কীভাবে ধর্মবিশ্বাসের প্রচলন হল, অর্থবহ শব্দ উচ্চারণের মাধ্যমে কীভাবে ভাষার উদ্ভব হল, প্রাচীনকালে কীভাবে সমাজ, সভ্যতা, রাজতন্ত্র ও রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হল প্রভৃতি বিষয়ে সহজ ভাষায় সুন্দর গল্প লিখে তিনি তাঁর কন্যা ইন্দিরাকে পাঠাতেন।

সভ্যতার অগ্রগতি

প্রাচীন ভারতে সভ্যতার অগ্রগতি, আর্যদের আগমন, রামায়ণ ও মহাভারতের আদর্শ, শক্তিশালী রাজবংশ, দরিদ্র শ্রেণির দুরবস্থা প্রভৃতির আলোচনাও তার লেখা চিঠিপত্রে স্থান পেয়েছে।

উপসংহার :- পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু তাঁর কন্যা ইন্দিরাকে বিভিন্ন চিঠির মাধ্যমে সমাজ, দেশ ও বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে যে সকল বিষয়ের অবতারণা করেছেন তাতে ভারতের ইতিহাসের বহু দিকের প্রতিফলন ঘটেছে। চিঠির মধ্যে সুন্দর গল্পগুলো হয়ে উঠেছে ভারতের ইতিহাসের এক অনন্য উপাদান।

সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

১.১. আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈচিত্র্য

(১.১.ক.) নতুন সামাজিক ইতিহাস

(১.১.খ.) খেলার ইতিহাস

(১.১.গ.) খাদ্যাভাসের ইতিহাস

(১.১.ঘ.) শিল্পচর্চার ইতিহাস (সংগীত, নৃত্য, নাটক, চলচ্চিত্র)

(১.১.ঙ.) পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস

(১.১.চ.) যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস

(১.১.ছ.) দৃশ্য শিল্পের ইতিহাস (ছবি আঁকা, ফোটোগ্রাফি)

(১.১.জ.) স্থাপত্যের ইতিহাস

(১.১.ঝ.) স্থানীয় ইতিহাস

(১.১.ঞ.) শহরের ইতিহাস

(১.১.ট.) সামরিক ইতিহাস

(১.১.ঠ.) পরিবেশের ইতিহাস

(১.১.ড.) বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাস

(১.১.ঢ.) নারী ইতিহাস

এইসব ইতিহাসচর্চার ধারার মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ অতিসংক্ষিপ্ত আলোচনা করে ইতিহাসের বিভিন্ন দিকের ধারণা।(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

১.২. আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদান ব্যবহারের পদ্ধতি

(১.২.ক.) সরকারি নথিপত্র (পুলিশ/গোয়েন্দা/সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন/ বিবরণ/চিঠিপত্র)

(১.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা {সত্তর বৎসর (বিপিনচন্দ্র পাল), জীবনস্মৃতি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর), জীবনের ঝরাপাতা (সরলা দেবী চৌধুরাণী)}

(১.২.গ.) চিঠিপত্র {ইন্দিরা গান্ধিকে লেখা জওহরলাল নেহরুর চিঠি (Letters from a Father to His Daughter)}

(১.২.ঘ.) সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র (বঙ্গদর্শন এবং সোমপ্রকাশ)

টুকরো কথা

আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চায় ফোটোগ্রাফের ব্যবহার। ইতিহাসের তথ্যসংগ্রহে ইনটারনেট ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা।

উপরের উপাদানগুলি ব্যবহারের পদ্ধতি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত আলোচনা (আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

Leave a Comment