বিগত শতকে ইতিহাসচর্চার প্রধান বিষয়বস্তু

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায়: ইতিহাসের ধারণা হতে বিগত শতকে ইতিহাসচর্চার প্রধান বিষয়বস্তুগুলি কী ছিল তা আলোচনা করা হল।

Table of Contents

বিগত শতকে ইতিহাসচর্চার প্রধান বিষয়বস্তু

প্রশ্ন:- বিগত শতকে ইতিহাসচর্চার প্রধান বিষয়বস্তুগুলি কী ছিল?

ভূমিকা :- লিখিত ইতিহাসের যুগ এবং লিখিত ইতিহাসের আগের যুগের সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্মসহ বিভিন্ন বিষয়ের চর্চাই হল ইতিহাস। আগে মূলত সমাজের উচ্চস্তর, সমাজ, রাজনীতি ও ধর্মের বড়ো বড়ো ঘটনাবলি প্রভৃতির আলোচনাই ছিল ইতিহাসচর্চার বিষয়বস্তু। যেমন –

রাজারাজড়ার কাহিনি

বিগত শতকে ইতিহাসচর্চার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল বিভিন্ন রাজবংশের উত্থান-পতন, যুদ্ধবিগ্রহ, রাজ্যজয়, সেনাপতি ও দিগ্‌বিজয়ী বীরদের সাফল্য-ব্যর্থতা প্রভৃতি কাহিনী।

উচ্চবর্গের কাহিনি

আগের শতকে সমাজের উচ্চবর্গ অর্থাৎ রাজার পারিষদগণ, অভিজাত শ্রেণি, স্থানীয় ভূস্বামী, জমিদার ও শাসকগোষ্ঠী প্রমুখের জীবনযাত্রার ঘটনাবলি ইতিহাসের আলোচ্য বিষয় ছিল।

ধর্মীয় কাহিনি

বিগত শতকে ইতিহাসের আলোচনার একটি প্রধান বিষয় ছিল মানুষের ধর্মীয় জীবন ও নানা ধর্মীয় ক্রিয়াকলাপ।

রাজনৈতিক ঘটনাবলি

অতীতের বড়ো ধরনের বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনাবলি আগে ইতিহাসের আলোচনায় স্থান লাভ করত। সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ, পাশ্চাত্য ভাবধারার প্রসার, যুদ্ধবিগ্রহ প্রভৃতি সহজেই ইতিহাসের আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে।

প্রাকৃতিক বিপর্যয়

অতীতের বিভিন্ন বড়ো ধরনের বন্যা, খরা, ভূমিকম্প প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিপর্যয়-সহ মহামারি, দুর্ভিক্ষ প্রভৃতির ফলে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানির ঘটনাও আগেকার দিনের ইতিহাসের আলোচনায় উঠে আসত।

উপসংহার :- বর্তমানে ইতিহাসের ধারণার পরিবর্তন ঘটেছে। ইতিহাসের পরিধি অনেক বেশি সম্প্রসারিত হয়েছে। তবে ইতিহাসের এই নতুন ধারাকে সর্বজনগ্রাহ্য করে তুলতে হলে সংগৃহীত তথ্যগুলোকে হাতে কলমে যাচাই করে ব্যবহার করতে হবে।

সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

১.১. আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈচিত্র্য

(১.১.ক.) নতুন সামাজিক ইতিহাস

(১.১.খ.) খেলার ইতিহাস

(১.১.গ.) খাদ্যাভাসের ইতিহাস

(১.১.ঘ.) শিল্পচর্চার ইতিহাস (সংগীত, নৃত্য, নাটক, চলচ্চিত্র)

(১.১.ঙ.) পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস

(১.১.চ.) যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস

(১.১.ছ.) দৃশ্য শিল্পের ইতিহাস (ছবি আঁকা, ফোটোগ্রাফি)

(১.১.জ.) স্থাপত্যের ইতিহাস

(১.১.ঝ.) স্থানীয় ইতিহাস

(১.১.ঞ.) শহরের ইতিহাস

(১.১.ট.) সামরিক ইতিহাস

(১.১.ঠ.) পরিবেশের ইতিহাস

(১.১.ড.) বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাস

(১.১.ঢ.) নারী ইতিহাস

এইসব ইতিহাসচর্চার ধারার মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ অতিসংক্ষিপ্ত আলোচনা করে ইতিহাসের বিভিন্ন দিকের ধারণা।(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

১.২. আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদান ব্যবহারের পদ্ধতি

(১.২.ক.) সরকারি নথিপত্র (পুলিশ/গোয়েন্দা/সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন/ বিবরণ/চিঠিপত্র)

(১.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা {সত্তর বৎসর (বিপিনচন্দ্র পাল), জীবনস্মৃতি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর), জীবনের ঝরাপাতা (সরলা দেবী চৌধুরাণী)}

(১.২.গ.) চিঠিপত্র {ইন্দিরা গান্ধিকে লেখা জওহরলাল নেহরুর চিঠি (Letters from a Father to His Daughter)}

(১.২.ঘ.) সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র (বঙ্গদর্শন এবং সোমপ্রকাশ)

টুকরো কথা

আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চায় ফোটোগ্রাফের ব্যবহার। ইতিহাসের তথ্যসংগ্রহে ইনটারনেট ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা।

উপরের উপাদানগুলি ব্যবহারের পদ্ধতি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত আলোচনা (আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

Leave a Comment