ডেভিড হেয়ার সম্পর্কে

দশম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়-সংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে ডেভিড হেয়ার সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

Table of Contents

ডেভিড হেয়ার সম্পর্কে

প্রশ্ন:- ডেভিড হেয়ার সম্পর্কে কী জান?

ভূমিকা :- উনিশ শতকের একজন ভারতপ্রেমিক মানবতাবাদীছিলেন মহামতি ডেভিড হেয়ার।ভারতের ইতিহাসে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে তিনি ছিলেন একজন অগ্রণী ব্যক্তিত্ব। বেসরকারি উদ্যোগে এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রচারে তিনি নিরলস ভূমিকা পালন করেছেন।

প্রথম জীবন

ডেভিড হেয়ার ১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে স্কটল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় এসে ঘড়ির ব্যাবসা শুরু করেন এবং প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। ঔপনিবেশিক শাসনে এদেশের মানুষের দুর্দশা দেখে তিনি দঃখিত হন।

আধুনিক শিক্ষার প্রসার

ডেভিড হেয়ার উপলব্ধি করেন যে, দেশের মানুষের সার্বিক অগ্রগতির জন্য আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটানো অত্যন্ত জরুরি। এই উদ্দেশ্যে তিনি হিন্দু কলেজের প্রতিষ্ঠায় (১৮১৭ খ্রি.) সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা ও ইংরেজি পাঠ্যপুস্তক রচনার উদ্দেশ্যে স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা (১৮১৭) করেন।

নারী শিক্ষার অগ্রগতি

ডেভিড হেয়ার এদেশের মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে কয়েকটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং নারীশিক্ষার পক্ষে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলেন।

শোষণের বিরোধিতা

ডেভিড হেয়ার দরিদ্র ভারতীয়দের ওপর ঔপনিবেশিক শোষণের বিরোধিতা করেন। নিষ্ঠুর শ্রম আইনের যারা দরিদ্র ভারতীয় শ্রমিকদের দাস হিসেবে ইউরোপে রপ্তানি, সংবাদপত্রের ওপর সরকারি বিধিনিষেধ আরোপ ইত্যাদির বিরুদ্ধে তিনি প্রচার চালান।

দেশাত্মবোধ

বাংলাকে মনেপ্রাণে ভালোবেসে ডেভিড হেয়ার তাঁর স্বদেশ স্কটল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার চিন্তা ত্যাগ করেন। তিনি বাংলা ভাষায় কথা বলতেন, দেশীয় খাবার খেতেন, দেশীয় পোশাক পরতেন এবং স্থানীয় সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন।

মৃত্যু

ডেভিড হেয়ার কলেরায় আক্রান্ত হয়ে ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে ১ জুন মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত জাতিধর্মবর্ণনির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ শোকাহত হয়। কলকাতার মানুষ চাঁদা সংগ্রহ করে ১৮৪৭ খ্রিস্ট তাঁর একটি স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তোলেন।

উপসংহার :- সমাজহিতৈষী ডেভিড হেয়ার এদেশে শিক্ষার প্রসারে আন্তরিকভাবে কাজ করে যান। মানবকল্যাণে নিজের যাবতীয় অর্থ ব্যয় করে জীবনের শেষদিকে তিনি গ্রস্ত হয়ে পড়েন।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (দ্বিতীয় অধ্যায়) সংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস দ্বিতীয় অধ্যায়- সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে সকল সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

২.১. উনিশ শতকের বাংলা সাময়িকপত্র, সংবাদপত্র ও সাহিত্যে সমাজের প্রতিফলন

(২.১.ক.) বামাবোধিনী

(২.১.খ.) হিন্দু প্যাট্রিয়ট

(২.১.গ.) হুতোম প্যাঁচার নকশা

(২.১.ঘ.) নীলদর্পণ

(২.১.ঙ.) গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা

উপরিউক্ত আলোচনার নিরিখে এই প্রসঙ্গগুলির বিশেষ আলোচনা করতে হবে (আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

২.২. উনিশ শতকের বাংলা শিক্ষাসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.২.ক.) প্রাচ্য শিক্ষা-পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব

(২.২.খ.) ইংরেজি শিক্ষার প্রসার

(২.২.গ.) নারী শিক্ষা ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

(২.২.ঘ.) পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের উদ্যোগ

(২.২.ঙ.) রাজা রামমোহন রায়

(২.২.চ.) রাজা রাধাকান্ত দেব

(২.২.ছ.) ডেভিড হেয়ার

(২.২.জ.) জন এলিয়ট ড্রিংক ওয়াটার বীটন বা বেথুন

(২.২.ঝ.) কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ

(২.২.ঞ.) চিকিৎসাবিদ্যার বিকাশ

(২.২.ট.) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষার বিকাশ

টুকরো কথা: মধুসূদন গুপ্ত

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

২.৩. উনিশ শতকের বাংলা-সমাজসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.৩.ক.) ব্রাহ্মসমাজসমূহের উদ্দোগ

(২.৩.খ.) সতীদাহপ্রথা বিরোধী আন্দোলন

(২.৩.গ.) নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী

(২.৩.ঘ.) বিধবাবিবাহ আন্দোলন

টুকরো কথা: হাজি মহম্মদ মহসীন

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

২.৪. উনিশ শতকের বাংলা-ধর্মসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.৪.ক.) ব্রাহ্ম আন্দোলন-বিবর্তন, বিভাজন, বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.৪.খ.) রামকৃষ্ণের সর্বধর্মসমন্বয়’-এর আদর্শ

(২.৪.গ.) স্বামী বিবেকানন্দের ধর্মসংস্কারের অভিমুখ

(২.৪.ঘ.) নব্য বেদান্ত-বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

টুকরো কথা: 

লালন ফকির
বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

২.৫. “বাংলার নবজাগরণ”-এর চরিত্র ও পর্যালোচনা,

উনিশ শতকের বাংলায় ‘নবজাগরণ’ ধারণার ব্যবহার বিষয়ক বিতর্ক

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

Leave a Comment