নারী ইতিহাসের গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায়: ইতিহাসের ধারণা হতে নারী ইতিহাসের গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য লেখ।

Table of Contents

নারী ইতিহাসের গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য

প্রশ্ন:- নারী ইতিহাসের গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য লেখ।

ভূমিকা :- সামাজিক ইতিহাস চর্চারই একটি অন্যতম ধারা হল নারী ইতিহাসের চর্চা। আধুনিক ইতিহাস চর্চার সবথেকে আকর্ষনীয় এবং বিতর্কিত শাখা হল নারী ইতিহাসের চর্চা। নারী কোনো অংশেই পুরুষের থেকে কম নয়। তাই নারী ইতিহাস চর্চা অবশ্যই প্রয়োজন।

নারী ইতিহাস চর্চা

প্রচলিত ইতিহাসে নারীর ভূমিকা বা অধিকারের যথাযথ মূল্যায়নের প্রয়োজনে নারীর গুরুত্বকে তুলে ধরার ইতিহাস চর্চাই হল নারী ইতিহাস।

নারী ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব

আধুনিক ইতিহাসের যুগ -এ নারী ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম।

(১) পুরুষকেন্দ্রিক ইতিহাস সংশোধন

অতীতে বারবার সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকাকে বেশি করে চিহ্নিত করা হয়েছে আর নারীরা উপেক্ষিত হয়েছে। কিন্তু নারী ইতিহাস চর্চার ফলে প্রচলিত পুরুষতান্ত্রিক ইতিহাস ধারার বদল ঘটেছে।

(২) ইতিহাসে নারীর ভূমিকা

যুগে যুগে ইতিহাসে নারীর অসামান্য অবদান রয়েছে, যেমন- নেফারতিতি, ক্লিওপেট্রা, রাজিয়া, নূরজাহান, দুর্গাবতী প্রমূখ নারী নিজের যোগ্যতার দ্বারা প্রাচীন ও মধ্যযুগের রাজনৈতিক ক্ষমতার সিংহাসনে আসীন হয়েছিলেন, যার প্রতিচ্ছবি বর্তমান কালেও দেখা যায়।

(৩) অধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠা

এই ইতিহাস চর্চার দ্বারা নারীর অধিকার এবং নারী পুরুষ সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা সহজ হয়ে ওঠে।

(৪) সভ্যতার অগ্রগতির মাপকাঠি

কোনো দেশের সভ্যতা ও সমাজে নারীর অবস্থান ও মর্যাদার ওপর সেই সভ্যতার উৎকর্ষ নির্ভর করে বলে নারী ইতিহাস চর্চা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

(৫) নারী ইতিহাস চর্চার ব্যক্তিত্ব

বর্তমান দিনে নারী ইতিহাস চর্চার সাথে যুক্ত কয়েকজন ব্যক্তি হলেন পাশ্চাত্যের লার্নার, জোয়ান কেলি, ভারত -এর নীরা দেশাই, বি আর নন্দ, রাজশ্রী বসু প্রমুখ।

মূল্যায়ন :- আসলে নারী ইতিহাস চর্চায় নারী সমাজের উপেক্ষিত অবদানের দিক গুলিকে তুলে এনে নারীদের সমাজে প্রকৃত মর্যাদা ও অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। – এখানেই নারী ইতিহাস চর্চার সবথেকে বড়ো গুরুত্ব ।

সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

১.১. আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈচিত্র্য

(১.১.ক.) নতুন সামাজিক ইতিহাস

(১.১.খ.) খেলার ইতিহাস

(১.১.গ.) খাদ্যাভাসের ইতিহাস

(১.১.ঘ.) শিল্পচর্চার ইতিহাস (সংগীত, নৃত্য, নাটক, চলচ্চিত্র)

(১.১.ঙ.) পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস

(১.১.চ.) যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস

(১.১.ছ.) দৃশ্য শিল্পের ইতিহাস (ছবি আঁকা, ফোটোগ্রাফি)

(১.১.জ.) স্থাপত্যের ইতিহাস

(১.১.ঝ.) স্থানীয় ইতিহাস

(১.১.ঞ.) শহরের ইতিহাস

(১.১.ট.) সামরিক ইতিহাস

(১.১.ঠ.) পরিবেশের ইতিহাস

(১.১.ড.) বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাস

(১.১.ঢ.) নারী ইতিহাস

এইসব ইতিহাসচর্চার ধারার মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ অতিসংক্ষিপ্ত আলোচনা করে ইতিহাসের বিভিন্ন দিকের ধারণা।(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

১.২. আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদান ব্যবহারের পদ্ধতি

(১.২.ক.) সরকারি নথিপত্র (পুলিশ/গোয়েন্দা/সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন/ বিবরণ/চিঠিপত্র)

(১.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা {সত্তর বৎসর (বিপিনচন্দ্র পাল), জীবনস্মৃতি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর), জীবনের ঝরাপাতা (সরলা দেবী চৌধুরাণী)}

(১.২.গ.) চিঠিপত্র {ইন্দিরা গান্ধিকে লেখা জওহরলাল নেহরুর চিঠি (Letters from a Father to His Daughter)}

(১.২.ঘ.) সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র (বঙ্গদর্শন এবং সোমপ্রকাশ)

টুকরো কথা

আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চায় ফোটোগ্রাফের ব্যবহার। ইতিহাসের তথ্যসংগ্রহে ইনটারনেট ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা।

উপরের উপাদানগুলি ব্যবহারের পদ্ধতি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত আলোচনা (আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

Leave a Comment