সাম্প্রতিককালে চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসচর্চার পরিচয়

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায়: ইতিহাসের ধারণা হতে সাম্প্রতিককালে চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসচর্চার পরিচয় দেওয়া হল।

Table of Contents

সাম্প্রতিককালে চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসচর্চার পরিচয়

প্রশ্ন:- সাম্প্রতিককালে চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসচর্চার পরিচয় দাও।

ভূমিকা :- প্রাচীনকালেই বিজ্ঞান প্রযুক্তির পাশাপাশি চিকিৎসাবিদ্যার সূত্রপাত ঘটেছে। প্রাচীন ও মধ্য যুগ পেরিয়ে চিকিৎসাবিদ্যার অগ্রগতি বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।

বিবর্তন

প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন যুগে চিকিৎসাবিদ্যার নানা পরিবর্তন, উন্নতি ও বিবর্তন ঘটেছে। ফলে আয়ুর্বেদিক, কবিরাজি, হোমিওপ্যাথি, অ্যালোপ্যাথি, আকুপাংচার প্রভৃতি চিকিৎসাবিদ্যার নানা শাখার উদ্ভব ঘটেছে।

ভারতে অগ্রগতি

ভারতে প্রাচীনকাল থেকেই চিকিৎসাবিজ্ঞানে যথেষ্ট অগ্রগতি ঘটেছিল বলে জানা যায়। কুষাণ যুগ, গুপ্ত যুগ এবং তার পরবর্তীকালে বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ভারতীয় চিকিৎসকদের নাম জানা যায়। তবে মধ্যযুগে এসে ভারতীয় চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতি থমকে যায়।

প্রাচ্যে ও পাশ্চাত্যে চিকিৎসাবিদ্যা

আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যার অগ্রগতি প্রথম ইউরোপে শুরু হয়। ইউরোপের বিভিন্ন ঔপনিবেশিক শক্তির মাধ্যমে তা প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতে ঔপনিবেশিক আমলে পাশ্চাত্যের আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থার প্রচলন ঘটে।

চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাস চর্চা

সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন দেশে চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসচর্চা যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই বিষয়ে দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘প্রাচীন ভারতে চিকিৎসাবিজ্ঞান, পার্থসারথি চক্রবর্তী রচিত ‘চিকিৎসা-বিজ্ঞানের আজব কথা’, তপন চক্রবর্তী রচিত ‘চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।

উপসংহার :- প্রাচীনকাল থেকে ধারাবাহিক বিবর্তনের মধ্য দিয়ে চিকিৎসাবিদ্যা আজ বর্তমান পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসাবিদ্যার এই বিবর্তনের কথা চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসচর্চার মধ্য দিয়েই জানা সম্ভব।

সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

১.১. আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈচিত্র্য

(১.১.ক.) নতুন সামাজিক ইতিহাস

(১.১.খ.) খেলার ইতিহাস

(১.১.গ.) খাদ্যাভাসের ইতিহাস

(১.১.ঘ.) শিল্পচর্চার ইতিহাস (সংগীত, নৃত্য, নাটক, চলচ্চিত্র)

(১.১.ঙ.) পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস

(১.১.চ.) যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস

(১.১.ছ.) দৃশ্য শিল্পের ইতিহাস (ছবি আঁকা, ফোটোগ্রাফি)

(১.১.জ.) স্থাপত্যের ইতিহাস

(১.১.ঝ.) স্থানীয় ইতিহাস

(১.১.ঞ.) শহরের ইতিহাস

(১.১.ট.) সামরিক ইতিহাস

(১.১.ঠ.) পরিবেশের ইতিহাস

(১.১.ড.) বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাস

(১.১.ঢ.) নারী ইতিহাস

এইসব ইতিহাসচর্চার ধারার মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ অতিসংক্ষিপ্ত আলোচনা করে ইতিহাসের বিভিন্ন দিকের ধারণা।(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

১.২. আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদান ব্যবহারের পদ্ধতি

(১.২.ক.) সরকারি নথিপত্র (পুলিশ/গোয়েন্দা/সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন/ বিবরণ/চিঠিপত্র)

(১.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা {সত্তর বৎসর (বিপিনচন্দ্র পাল), জীবনস্মৃতি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর), জীবনের ঝরাপাতা (সরলা দেবী চৌধুরাণী)}

(১.২.গ.) চিঠিপত্র {ইন্দিরা গান্ধিকে লেখা জওহরলাল নেহরুর চিঠি (Letters from a Father to His Daughter)}

(১.২.ঘ.) সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র (বঙ্গদর্শন এবং সোমপ্রকাশ)

টুকরো কথা

আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চায় ফোটোগ্রাফের ব্যবহার। ইতিহাসের তথ্যসংগ্রহে ইনটারনেট ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা।

উপরের উপাদানগুলি ব্যবহারের পদ্ধতি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত আলোচনা (আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

Leave a Comment