উনিশ শতকের বাংলায় হিন্দুধর্মের সংস্কারের পরিচয়

দশম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়- সংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে উনিশ শতকের বাংলায় হিন্দুধর্মের সংস্কারের পরিচয় দেওয়া হল।

Table of Contents

উনিশ শতকের বাংলায় হিন্দুধর্মের সংস্কারের পরিচয়

প্রশ্ন:- উনিশ শতকের বাংলায় হিন্দুধর্মের সংস্কারের পরিচয় দাও।

ভূমিকা :- অষ্টাদশ শতকেও বাংলায় হিন্দুধর্মে নানা কুসংস্কারের অস্তিত্ব ছিল। পৌত্তলিকতা, বহু দেবতার আরাধনা প্রভৃতি হিন্দুধর্মে জাঁকিয়ে বসেছিল। এই সবের বিরুদ্ধে উনিশ শতকে বিভিন্ন মনীষীর উদ্যোগে সংস্কারকার্য শুরু হয়।

ব্রাহ্মসমাজের ভূমিকা

রাজা রামমোহন রায়ের প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মসমাজই প্রথম হিন্দুধর্মের সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। একেশ্বরবাদ প্রতিষ্ঠা, পৌত্তলিকতার অবসান, সর্বধর্মসমন্বয়সাধন, মানবতাবাদ প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মসমাজ এক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলে। রামমোহনের মৃত্যুর পরবর্তীতে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কেশবচন্দ্র সেন প্রমুখের নেতৃত্বে ব্রাহ্মসমাজের ধর্মীয় আন্দোলন চলতে থাকে।

নব্যবঙ্গদের ভূমিকা

ডিরোজিও -র নেতৃত্বে ‘নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী’ হিন্দুধর্মের সংস্কারে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ১৮২৭ খ্রিস্টাব্দে ডিরোজিও প্রতিষ্ঠিত অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশনে হিন্দুধর্মের অস্পৃশ্যতা, ভ্রাতিভেদপ্রথা, সতীদাহ প্রথা, মুর্তিপূজা প্রভৃতি কুসংস্কারের বিরুদ্ধে নিয়মিত আলোচনা হত। এই সংগঠনের সদস্যরা নিষিদ্ধ মাংস খেয়ে, উপবীত ছিঁড়ে হিন্দুধর্মের রক্ষণশীলতার প্রতিবাদ জানায়।

শ্রীরামকৃষ্ণের ভূমিকা

শ্রীরামকৃষ্ণ সহজসরল ভাষায় তাঁর ধর্মীয়মতাদর্শ প্রচার করে আপামর বাঙালিসমাজকে প্রবলভাবে আকৃষ্ট করেন। তিনি বলতেন, সকল ধর্মই সত্য। তিনি “যত মত, তত পথ’-এর আদর্শ প্রচার করে বলেন যে, সাধনার সব পথই সত্য ও সঠিক। বৈষ্ণব, শাক্ত, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান প্রভৃতি সব ধর্মের সাধনার মধ্য দিয়েই ঈশ্বরকে লাভ করা সম্ভব।

স্বামী বিবেকানন্দের ভূমিকা

স্বামী বিবেকানন্দ প্রাচীন অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের নিজস্ব ব্যাখ্যা দিয়ে এই আন্দোলনকে জনপ্রিয় করে তোলেন।এই ব্যাপারে তার ব্যাখ্যা নব্য বেদান্তবাদ নামে পরিচিত। এই ব্যাখ্যায় তিনি বলেন যে, সাধারণ মানুষের সেবা করাই হল ব্রহ্মের সেবা করা। তিনি আত্মার মুক্তির জন্য সমাধি বা বাহ্যজ্ঞানযুক্ত গভীর জ্ঞানের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।

উপসংহার:- এইভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও মনীষীদের সংস্কার প্রচেষ্টার ফলে হিন্দু ধর্ম জড়তা কাটিয়ে কুসংস্কারমুক্ত হয় এবং মধ্যযুগীয় অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসে।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (দ্বিতীয় অধ্যায়) সংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস দ্বিতীয় অধ্যায়- সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে সকল সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

২.১. উনিশ শতকের বাংলা সাময়িকপত্র, সংবাদপত্র ও সাহিত্যে সমাজের প্রতিফলন

(২.১.ক.) বামাবোধিনী

(২.১.খ.) হিন্দু প্যাট্রিয়ট

(২.১.গ.) হুতোম প্যাঁচার নকশা

(২.১.ঘ.) নীলদর্পণ

(২.১.ঙ.) গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা

উপরিউক্ত আলোচনার নিরিখে এই প্রসঙ্গগুলির বিশেষ আলোচনা করতে হবে (আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

২.২. উনিশ শতকের বাংলা শিক্ষাসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.২.ক.) প্রাচ্য শিক্ষা-পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব

(২.২.খ.) ইংরেজি শিক্ষার প্রসার

(২.২.গ.) নারী শিক্ষা ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

(২.২.ঘ.) পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের উদ্যোগ

(২.২.ঙ.) রাজা রামমোহন রায়

(২.২.চ.) রাজা রাধাকান্ত দেব

(২.২.ছ.) ডেভিড হেয়ার

(২.২.জ.) জন এলিয়ট ড্রিংক ওয়াটার বীটন বা বেথুন

(২.২.ঝ.) কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ

(২.২.ঞ.) চিকিৎসাবিদ্যার বিকাশ

(২.২.ট.) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষার বিকাশ

টুকরো কথা: মধুসূদন গুপ্ত

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

২.৩. উনিশ শতকের বাংলা-সমাজসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.৩.ক.) ব্রাহ্মসমাজসমূহের উদ্দোগ

(২.৩.খ.) সতীদাহপ্রথা বিরোধী আন্দোলন

(২.৩.গ.) নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী

(২.৩.ঘ.) বিধবাবিবাহ আন্দোলন

টুকরো কথা: হাজি মহম্মদ মহসীন

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

২.৪. উনিশ শতকের বাংলা-ধর্মসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.৪.ক.) ব্রাহ্ম আন্দোলন-বিবর্তন, বিভাজন, বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.৪.খ.) রামকৃষ্ণের সর্বধর্মসমন্বয়’-এর আদর্শ

(২.৪.গ.) স্বামী বিবেকানন্দের ধর্মসংস্কারের অভিমুখ

(২.৪.ঘ.) নব্য বেদান্ত-বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

টুকরো কথা: 

লালন ফকির
বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

২.৫. “বাংলার নবজাগরণ”-এর চরিত্র ও পর্যালোচনা,

উনিশ শতকের বাংলায় ‘নবজাগরণ’ ধারণার ব্যবহার বিষয়ক বিতর্ক

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

Leave a Comment