সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্রের মধ্যে পার্থক্য

দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায়: ইতিহাসের ধারণা হতে সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্রের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করা হল।

Table of Contents

সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্রের মধ্যে পার্থক্য

প্রশ্ন:- সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্রের মধ্যে পার্থক্য কি?

ভূমিকা :- সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র আধুনিককালের ইতিহাস রচনার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়। সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র উভয়ই সংবাদ পরিবেশন করে থাকে। তবে উভয়ের মধ্যে কিছু পার্থক্যও আছে। যেমন –

আত্মপ্রকাশের কালের পার্থক্য

সাময়িকপত্রের আবির্ভাব অষ্টাদশ শতকে। কিন্তু রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের সময় থেকেই, অর্থাৎ জিশুখ্রিস্টের জন্মের পূর্বেই সংবাদপত্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে বলে মনে করা হয়।

আকৃতিগত পার্থক্য

আকৃতি এবং দৃশ্যমানতার ক্ষেত্রেও সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্রের মধ্যে পার্থক্য চোখে পড়ে। সাময়িকপত্রগুলির পৃষ্ঠা আকারে ছোটো হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে তা বইয়ের মতো বাঁধাই করা থাকে। আর সংবাদপত্রগুলির পৃষ্ঠা আকারে বড়ো হয় এবং তার পৃষ্ঠাগুলি খোলা থাকে।

প্রকাশের সময়কালের পার্থক্য

সাময়িকপত্র একটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে প্রকাশিত হয়। সেই ব্যবধান এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ বা এক মাসও হতে পারে। কিন্তু সংবাদপত্র প্রকাশিত হয় প্রতিদিন, এমনকি দিনে দুইবারও কোনো কোনো সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়।

প্রকাশনার পার্থক্য

সাময়িকপত্রে সমকালীন খবরাখবরগুলি ছাড়াও কোনো মৌলিক রচনা বা গবেষণাকর্ম যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়। কিন্তু সংবাদপত্রে গবেষণামূলক প্রবন্ধের পরিবর্তে সাম্প্রতিক খবর পরিবেশনই বেশি গুরুত্ব পায়।

প্রকাশনার বিষয়ে পার্থক্য

সাময়িকপত্র কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিকও হতে পারে। যেমন – শুধু ইতিহাসচর্চার ওপর ভিত্তি করে এবং ইতিহাসের খবরাখবর ও গবেষণা নিয়ে নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে কোনো সাময়িকপত্র প্রকাশিত হতে পারে। কিন্তু সংবাদপত্রগুলির অধিকাংশই হয় সার্বিক। অর্থাৎ সাম্প্রতিক সমস্ত বিষয়ের খবরাখবর সংবাদপত্রে ছাপা হয়।

উপসংহার :- সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্রের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও সমকালীন ইতিহাসের উপাদান সংগ্রহের কাজে উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার কাজে এই দুই উপাদান আজ ভীষণ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

১.১. আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈচিত্র্য

(১.১.ক.) নতুন সামাজিক ইতিহাস

(১.১.খ.) খেলার ইতিহাস

(১.১.গ.) খাদ্যাভাসের ইতিহাস

(১.১.ঘ.) শিল্পচর্চার ইতিহাস (সংগীত, নৃত্য, নাটক, চলচ্চিত্র)

(১.১.ঙ.) পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস

(১.১.চ.) যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাস

(১.১.ছ.) দৃশ্য শিল্পের ইতিহাস (ছবি আঁকা, ফোটোগ্রাফি)

(১.১.জ.) স্থাপত্যের ইতিহাস

(১.১.ঝ.) স্থানীয় ইতিহাস

(১.১.ঞ.) শহরের ইতিহাস

(১.১.ট.) সামরিক ইতিহাস

(১.১.ঠ.) পরিবেশের ইতিহাস

(১.১.ড.) বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাস

(১.১.ঢ.) নারী ইতিহাস

এইসব ইতিহাসচর্চার ধারার মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ অতিসংক্ষিপ্ত আলোচনা করে ইতিহাসের বিভিন্ন দিকের ধারণা।(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

১.২. আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদান ব্যবহারের পদ্ধতি

(১.২.ক.) সরকারি নথিপত্র (পুলিশ/গোয়েন্দা/সরকারি আধিকারিকদের প্রতিবেদন/ বিবরণ/চিঠিপত্র)

(১.২.খ.) আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা {সত্তর বৎসর (বিপিনচন্দ্র পাল), জীবনস্মৃতি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর), জীবনের ঝরাপাতা (সরলা দেবী চৌধুরাণী)}

(১.২.গ.) চিঠিপত্র {ইন্দিরা গান্ধিকে লেখা জওহরলাল নেহরুর চিঠি (Letters from a Father to His Daughter)}

(১.২.ঘ.) সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র (বঙ্গদর্শন এবং সোমপ্রকাশ)

টুকরো কথা

আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চায় ফোটোগ্রাফের ব্যবহার। ইতিহাসের তথ্যসংগ্রহে ইনটারনেট ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা।

উপরের উপাদানগুলি ব্যবহারের পদ্ধতি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত আলোচনা (আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

Leave a Comment