লালন ফকির সম্পর্কে কী জান

দশম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়: সংস্কার- বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে লালন ফকির সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

Table of Contents

লালন ফকির সম্পর্কে আলোচনা

প্রশ্ন:- লালন ফকির সম্পর্কে কী জান?

ভূমিকা :- উনিশ শতকে বাংলায় সর্বধর্মসমন্বয়ের ক্ষেত্রে যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন আধ্যাত্মিক বাউলসাধক লালন ফকির বা লালন সাঁই।

লালনের পরিচয়

লালন ১৭৭৪ সালে হরিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। অনেকে আবার বলেন কুষ্টিয়া জেলার ভাড়ারা গ্রামে তার জন্ম।

বাউল লালন

লালন সিরাজ সাঁই-এর কাছে বাউল ধর্মে দীক্ষা নেন। তিনি দেউরিয়ায় বাউল আখড়া তৈরি করে শিষ্যসহ বসবাস করেন।

জাতিভেদ

তিনি কোনো জাতিভেদ মানতেন না। তিনি হিন্দু, মুসলমান, ব্রহ্ম, বৈষ্ণব সকলকেই তার নিজ নিজ ধর্মের লোক বলে মনে করতেন।

ধর্মবিশ্বাস

লালন হিন্দু না মুসলিম ছিলেন তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কেউ তাঁকে হিন্দু, আবার কেউ বা মুসলিম বলে মনে করতেন। কিন্তু লালন নিজে এই বিষয়ে কিছু না বলে বরং গান বেঁধেছেন—

“সব লোকে কয় লালন কি জাতি সংসারে। লালন বলে জাতের কি রূপ দেখলাম না এই নজরে।”

বাউল গান

কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাদীক্ষা না থাকলেও লালন নিজ সাধনাবলে হিন্দু ও মুসলিম ধর্মশাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করেন এবং মানবজীবনের আধ্যাত্মিক রহস্য নিয়ে প্রায় দু-হাজার বাউল গান রচনা করেন। তার রচিত একটি বিখ্যাত গান হল ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়।’

‘মনের মানুষ’-এর ধারণা

লালনফকির বিশ্বাস করতেন সকল মানুষের মাঝে বাস করে এক মনের মানুষ। সেই মনের মানুষের কোনো জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গভেদ নেই। সেই মনের মানুষকে নিয়েই লালন গান বাঁধেন — “মিলন হবে কত দিনে, আমার মনের মানুষেরই সনে।”

ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে যোগ

ঠাকুর পরিবারের অনেকের সঙ্গেলালনের যোগাযোগ ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও লালনের গান ও দর্শনের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, “লালন ফকির নামে একজন বাউল সাধক হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, জৈন ধর্মের সমন্বয় করে কী যেন একটা বলতে চেয়েছেন, আমাদের সবারই সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।”

উপসংহার :- লালন ফকির সকল ধর্মের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রাখতেন। তিনি হিন্দু ও ইসলাম—উভয় ধর্মশাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করেন। ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে ১১৬ বছর বয়সে লালনের মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর পর হিন্দু বা মুসলিম কোনো ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করা হয়নি।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (দ্বিতীয় অধ্যায়) সংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস দ্বিতীয় অধ্যায়- সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা হতে সকল সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

২.১. উনিশ শতকের বাংলা সাময়িকপত্র, সংবাদপত্র ও সাহিত্যে সমাজের প্রতিফলন

(২.১.ক.) বামাবোধিনী

(২.১.খ.) হিন্দু প্যাট্রিয়ট

(২.১.গ.) হুতোম প্যাঁচার নকশা

(২.১.ঘ.) নীলদর্পণ

(২.১.ঙ.) গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা

উপরিউক্ত আলোচনার নিরিখে এই প্রসঙ্গগুলির বিশেষ আলোচনা করতে হবে (আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

২.২. উনিশ শতকের বাংলা শিক্ষাসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.২.ক.) প্রাচ্য শিক্ষা-পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব

(২.২.খ.) ইংরেজি শিক্ষার প্রসার

(২.২.গ.) নারী শিক্ষা ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

(২.২.ঘ.) পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের উদ্যোগ

(২.২.ঙ.) রাজা রামমোহন রায়

(২.২.চ.) রাজা রাধাকান্ত দেব

(২.২.ছ.) ডেভিড হেয়ার

(২.২.জ.) জন এলিয়ট ড্রিংক ওয়াটার বীটন বা বেথুন

(২.২.ঝ.) কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ

(২.২.ঞ.) চিকিৎসাবিদ্যার বিকাশ

(২.২.ট.) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষার বিকাশ

টুকরো কথা: মধুসূদন গুপ্ত

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

২.৩. উনিশ শতকের বাংলা-সমাজসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.৩.ক.) ব্রাহ্মসমাজসমূহের উদ্দোগ

(২.৩.খ.) সতীদাহপ্রথা বিরোধী আন্দোলন

(২.৩.গ.) নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী

(২.৩.ঘ.) বিধবাবিবাহ আন্দোলন

টুকরো কথা: হাজি মহম্মদ মহসীন

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

২.৪. উনিশ শতকের বাংলা-ধর্মসংস্কার: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.৪.ক.) ব্রাহ্ম আন্দোলন-বিবর্তন, বিভাজন, বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

(২.৪.খ.) রামকৃষ্ণের সর্বধর্মসমন্বয়’-এর আদর্শ

(২.৪.গ.) স্বামী বিবেকানন্দের ধর্মসংস্কারের অভিমুখ

(২.৪.ঘ.) নব্য বেদান্ত-বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা

টুকরো কথা: 

লালন ফকির
বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)

২.৫. “বাংলার নবজাগরণ”-এর চরিত্র ও পর্যালোচনা,

উনিশ শতকের বাংলায় ‘নবজাগরণ’ ধারণার ব্যবহার বিষয়ক বিতর্ক

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি)।

Leave a Comment