২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

টীকা লেখো: তরিকা-ই-মহম্মদীয়া

দশম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে তরিকা-ই-মহম্মদীয়া সম্পর্কে টীকা দেওয়া হল।

Table of Contents

তরিকা-ই-মহম্মদীয়া সম্পর্কে টীকা

প্রশ্ন:- টীকা লেখো: ‘তরিকা-ই-মহম্মদীয়া’।

ভূমিকা :- ‘তরিকা-ই-মহম্মদীয়া’ কথার অর্থ হল ‘মহম্মদ প্রদর্শিত পথ’। ১৮-১৯ শতকে আরব দেশ তথা ভারতীয় মুসলিম সমাজে যে পুনরুজ্জীবনবাদী আন্দোলন শুরু হয় তা ‘তরিকা-ই-মহম্মদীয়া’ নামে পরিচিত। এই ভাবধারার মূল কথা হল ইসলামকে অতীতের পবিত্রতায় ফিরিয়ে আনা, অমুসলিমদের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধ ঘোষণা করা।

সূত্রপাত

অষ্টাদশ শতকে আবদুল ওয়াহাব নামে জনৈক ব্যক্তি আরব দেশে ‘তরিকা-ই-মহম্মদীয়া’ নামে মুসলিম পুনরুজ্জীবনবাদী আন্দোলনের সূচনা করেন। তাঁর নামানুসারে সাধারণভাবে এটি ‘ওয়াহাবি আন্দোলন’ নামেই বেশি পরিচিত।

ভারতে সূত্রপাত

আঠারো শতকের প্রথমদিকে দিল্লির মুসলিম সন্তু শাহ ওয়ালিউল্লাহ এবং তার পুত্র আজিজ ভারতে ‘তরিকা-ই-মহম্মদীয়া’ অর্থাৎ ওয়াহাবি আন্দোলনের ভাবধারা প্রচার করেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতে ইসলামের শুদ্ধিকরণ ঘটিয়ে সমাজকে পবিত্র করা।

ভারতে প্রসার

উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলির বাসিন্দা সৈয়দআহমেদ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে এদেশে ‘তরিকা-ই-মহম্মদীয়া’র ভাবধারাকে জনপ্রিয় করে তোলেন। তিনিই ছিলেন ভারতে ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রকৃত প্রবর্তক।

বাংলায় প্রসার

উনিশ শতকে বাংলার মুসলিমসমাজে শুদ্ধিকরণের উদ্দেশ্যে ‘তরিকা-ই-মহম্মদীয়া’র ভাবধারা প্রচারিত হয়। বাংলায় এই ভাবধারার প্রচারে মুখ্য ভূমিকা নেন তিতুমির বা মির নিসার আলি।

তিতুমিরের আদর্শ

তিতুমিরের অনুগামীরা প্রচার করেন যে, ব্রিটিশ শাসনে ভারত ‘দার-উল-হারব’ অর্থাৎ বিধর্মীর দেশে পরিণত হয়েছে। তাই ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশকে ‘দার উল-ইসলাম অর্থাৎ পবিত্র ইসলামের দেশে পরিণত করতে হবে।

উপসংহার:- ‘তরিকা-ই মহম্মদীয়া’ আসলে ওয়াহাবি আন্দোলনেরই একটি আদর্শগত দিক। বাংলায় এই আদর্শের পুরোধা তিতুমির ‘তরিকা-ই-মহম্মদীয়া’ বা মহম্মদ নির্দেশিত পথকে জমিদার, নীলকর ও তাদের শোষক ইংরেজদের বিরুদ্ধে কাজে লাগান এবং তাদের হটিয়ে এক নতুন ব্যবস্থা প্রণয়নের স্বপ্ন দেখেন।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (তৃতীয় অধ্যায়) প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস তৃতীয় অধ্যায়- প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে সকল সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস তৃতীয় অধ্যায় – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন ও সেই বিষয়ে আদিবাসী জনগণের প্রতিক্রিয়া বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ভূমিকা; প্রসঙ্গত বিদ্রোহ, অভ্যূত্থান ও বিপ্লব-এর ধারণাগত আলোচনা।

৩.১. আদিবাসী বিদ্রোহ

৩.১.ক. চুয়াড় বিদ্রোহ (দ্বিতীয় পর্ব, মেদিনীপুর, ১৭৯৮-৯৯)
৩.১.খ. কোল বিদ্রোহ (১৮৩১-৩২)
৩.১.গ. সাঁওতাল হুল (১৮৫৫-৫৬)
৩.১.ঘ. মুন্ডা বিদ্রোহ (১৮৯৯-১৯০০)

এই বিদ্রোহগুলির অতিসংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ।

টুকরো কথা

রংপুর বিদ্রোহ (১৭৮৩)
ভিল বিদ্রোহ (১৮১৯)

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৩.২. ধর্ম প্রভাবিত বিদ্রোহ

(৩.২.ক.) সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ (১৭৬৩-১৮০০)
(৩.২.খ.) ওয়াহাবি আন্দোলন
(৩.২.গ.) ফরাজি আন্দোলন

এই বিদ্রোহ গুলির অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

টুকরো কথা

(ক) পাগলপন্থি বিদ্রোহ (১৮২৫-২৭)
(খ) তারিখ-ই-মহম্মদীয়া

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৩.৩. নীল বিদ্রোহ

এই বিদ্রোহের অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

টুকরো কথা

পাবনার কৃষক বিদ্রোহ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)।

1 thought on “টীকা লেখো: তরিকা-ই-মহম্মদীয়া”

Leave a Comment