২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ (দাম প্রতি ক্লাস ৯৯ টাকা)।

👉Chat on WhatsApp

কী উদ্দেশ্যে ঔপনিবেশিক সরকার অরণ্য আইন প্রণয়ন

দশম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে প্রশ্ন কী উদ্দেশ্যে ঔপনিবেশিক সরকার অরণ্য আইন প্রণয়ন

Table of Contents

কী উদ্দেশ্যে ঔপনিবেশিক সরকার অরণ্য আইন প্রণয়ন

প্রশ্ন:- কী উদ্দেশ্যে ঔপনিবেশিক সরকার অরণ্য আইন প্রণয়ন করে?

ভূমিকা :- ব্রিটিশ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারত -এর আদিবাসী উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের অরণ্যের অধিকার কেড়ে নেয় বা ধ্বংস করে। এই পদক্ষেপ গুলির মধ্যে অন্যতম একটি পদক্ষেপ ছিল অরণ্য আইন লাগু করা।

অরণ্য আইন

ঔপনিবেশিক শাসনকালে ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতে সরকারি বনবিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম অরণ্য আইন ও ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় অরণ্য আইন পাস করে ব্রিটিশ সরকার বনভূমির ওপর তাদের অধিকার নিশ্চিত করে।

অরণ্য আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য

এদেশে অরণ্য আইন প্রণয়নের নানা উদ্দেশ্য ছিল। যেমন –

(১) আর্থিক সমৃদ্ধি

ব্রিটিশ সরকার দেশীয় আদিবাসীদের অধিকার ধ্বংস করে ভারতের সুবিস্তৃত অরণ্য গুলির কাঠ ও অন্যান্য বনজ সম্পদ একচেটিয়াভাবে হস্তক্ষেপ করার উদ্যোগ নেয়।

(২) রেলপথ নির্মাণ

১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে ব্রিটিশ সরকার এ দেশে দ্রুত ও ব্যাপক রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এই রেলপথ নির্মাণের জন্য প্রচুর পরিমাণ কাঠের প্রয়োজন ছিল যা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সরকার এদেশের অরণ্যগুলির ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়।

(৪) জাহাজ নির্মাণ

সীমান্ত সুরক্ষা অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় জাহাজ নির্মাণের জন্য যে প্রচুর পরিমাণ কাঠের প্রয়োজন ছিল তা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সরকার অরণ্যের ওপর আধিপত্য সুনিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন করে।

(৪) বিনোদন

বনাঞ্চলে শিকারের বিষয়টি অবাধ করার উদ্দেশ্যে সরকার অরণ্য আইন প্রবর্তনের প্রয়োজন বোধ করে।

(৫) উপজাতির কাঠ কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা

ভারতের অরণাগুলিতে বসবাসকারী উপজাতিরা যাতে থেচ্ছভাবে গাছ কাটতে না পারে সেদিকেও নজর দেওয়ার প্রয়োজন হয়।

উপসংহার :- পরিশেষে বলা যায় যে, ব্রিটিশ সরকারের এই অরণ্য আইন প্রবর্তনের ফলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ অরণ্যের অধিকার হারিয়ে সরকারের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয় এবং বিভিন্ন বিদ্রোহে সামিল হয়।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (তৃতীয় অধ্যায়) প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস তৃতীয় অধ্যায়- প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে সকল সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস তৃতীয় অধ্যায় – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন ও সেই বিষয়ে আদিবাসী জনগণের প্রতিক্রিয়া বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ভূমিকা; প্রসঙ্গত বিদ্রোহ, অভ্যূত্থান ও বিপ্লব-এর ধারণাগত আলোচনা।

৩.১. আদিবাসী বিদ্রোহ

৩.১.ক. চুয়াড় বিদ্রোহ (দ্বিতীয় পর্ব, মেদিনীপুর, ১৭৯৮-৯৯)
৩.১.খ. কোল বিদ্রোহ (১৮৩১-৩২)
৩.১.গ. সাঁওতাল হুল (১৮৫৫-৫৬)
৩.১.ঘ. মুন্ডা বিদ্রোহ (১৮৯৯-১৯০০)

এই বিদ্রোহগুলির অতিসংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ।

টুকরো কথা

রংপুর বিদ্রোহ (১৭৮৩)
ভিল বিদ্রোহ (১৮১৯)

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৩.২. ধর্ম প্রভাবিত বিদ্রোহ

(৩.২.ক.) সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ (১৭৬৩-১৮০০)
(৩.২.খ.) ওয়াহাবি আন্দোলন
(৩.২.গ.) ফরাজি আন্দোলন

এই বিদ্রোহ গুলির অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

টুকরো কথা

(ক) পাগলপন্থি বিদ্রোহ (১৮২৫-২৭)
(খ) তারিখ-ই-মহম্মদীয়া

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৩.৩. নীল বিদ্রোহ

এই বিদ্রোহের অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

টুকরো কথা

পাবনার কৃষক বিদ্রোহ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)।

Leave a Comment