ভারতের আদিবাসী ও উপজাতি সম্প্রদায় কীভাবে অরণ্যের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করত এবং ব্রিটিশ সরকার কীভাবে তাদের অরণ্যের অধিকার হরণ করে নেয়

দশম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে ভারতের আদিবাসী ও উপজাতি সম্প্রদায় কীভাবে অরণ্যের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করত এবং ব্রিটিশ সরকার কীভাবে তাদের অরণ্যের অধিকার হরণ করে নেয় তা আলোচনা হল।

Table of Contents

ভারতের আদিবাসী ও উপজাতি সম্প্রদায় কীভাবে অরণ্যের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করত এবং ব্রিটিশ সরকার কীভাবে তাদের অরণ্যের অধিকার হরণ করে নেয়

প্রশ্ন:- ভারতের আদিবাসী ও উপজাতি সম্প্রদায় কীভাবে অরণ্যের ওপর নির্ভর করে জীবিকানির্বাহ করত এবং ব্রিটিশ সরকার কীভাবে তাদের অরণ্যের অধিকার হরণ করে নেয়?

ভূমিকা :- ভারতের প্রাচীন বাসিন্দা আদিবাসী বা উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষজন ছিল খুবই সরল প্রকৃতির। তারা মূলত অরণ্যের ওপর নির্ভর করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করত।তারা ছিল শান্তি প্রিয় জাতি।

বাসস্থান

ভারতের উপজাতি বা আদিবাসী সম্প্রদায়গুলি সাধারণত তথাকথিত সভ্য সমাজ থেকে অনেক দূরে প্রত্যন্ত অরণ্যসংকুল ও পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করত।

অরণ্যসম্পদ সংগ্রহ

ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে আদিবাসীরা অরণ্যের কাঠ, ফলমূল ও বিভিন্ন বনজ সম্পদ সংগ্রহ, পশুপাখি শিকার প্রভৃতির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করত।

জীবিকা নির্বাহ

আদিবাসী সম্প্রদায়গুলি অরণ্যের সম্পদ ভোগএবং বিক্রিকরত। তারা কঠোর পরিশ্রম করে বনভূমি পরিষ্কার করে, অনুর্বর পতিত জমি উদ্ধার করে সেখানে চাষবাস শুরু করে।

আদিবাসীদের অরণ্যের অধিকার হরণ

অষ্টাদশ শতক থেকে ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পর সরকার নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে আদিবাসীদের অরণ্যের অধিকার কেড়ে নেয়। এক্ষেত্রে তাদের পদক্ষেপ গুলি হল –

(১) অরণ্যে সরকারি আধিপত্য

ব্রিটিশ সরকার এদেশে নতুন নতুন শহরের নির্মাণকার্য, জাহাজ তৈরি, রেলপথ প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি প্রয়োজনে ভারতের অরণ্য সম্পদের ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়।

(২) আদিবাসীদের অধিকারহরণ

সরকার নানা বাধানিষেধের মাধ্যমে আদিবাসীদের অরণ্যের বনজ সম্পদ আহরণের অধিকার কেড়ে নেয়। তাছাড়া অরণ্য সনদ, বনবিভাগ গঠন, অরণ্য আইন প্রবর্তন প্রভৃতির ফলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের অরণ্যের অধিকার হারাতে থাকে।

(৩) খাজনা আরোপ

আদিবাসীরা নিজ পরিশ্রমে যে কৃষিজমি উদ্ধারকরে তার ওপর সরকার খাজনা নির্ধারণ করে। ব্রিটিশ সরকারেরএই অরণ্যনীতির ফলে বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায় ক্ষুদ্ধ হয়।

উপসংহার :- সামগ্রিকভাবে অরণ্যই ছিল আদিবাসী ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষগুলোর জীবনজীবিকার মূল উৎস। কিন্তু ব্রিটিশ কোম্পানি অরণ্যের ওপর হস্তক্ষেপ করলে এইসব সহজসরল মানুষগুলোর ওপর তীব্র অর্থনৈতিক শোষণ নেমে আসে।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (তৃতীয় অধ্যায়) প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস তৃতীয় অধ্যায়- প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে সকল সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস তৃতীয় অধ্যায় – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন ও সেই বিষয়ে আদিবাসী জনগণের প্রতিক্রিয়া বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ভূমিকা; প্রসঙ্গত বিদ্রোহ, অভ্যূত্থান ও বিপ্লব-এর ধারণাগত আলোচনা।

৩.১. আদিবাসী বিদ্রোহ

৩.১.ক. চুয়াড় বিদ্রোহ (দ্বিতীয় পর্ব, মেদিনীপুর, ১৭৯৮-৯৯)
৩.১.খ. কোল বিদ্রোহ (১৮৩১-৩২)
৩.১.গ. সাঁওতাল হুল (১৮৫৫-৫৬)
৩.১.ঘ. মুন্ডা বিদ্রোহ (১৮৯৯-১৯০০)

এই বিদ্রোহগুলির অতিসংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ।

টুকরো কথা

রংপুর বিদ্রোহ (১৭৮৩)
ভিল বিদ্রোহ (১৮১৯)

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৩.২. ধর্ম প্রভাবিত বিদ্রোহ

(৩.২.ক.) সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ (১৭৬৩-১৮০০)
(৩.২.খ.) ওয়াহাবি আন্দোলন
(৩.২.গ.) ফরাজি আন্দোলন

এই বিদ্রোহ গুলির অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

টুকরো কথা

(ক) পাগলপন্থি বিদ্রোহ (১৮২৫-২৭)
(খ) তারিখ-ই-মহম্মদীয়া

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৩.৩. নীল বিদ্রোহ

এই বিদ্রোহের অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

টুকরো কথা

পাবনার কৃষক বিদ্রোহ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)।

Leave a Comment