২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ👇

👉Chat on WhatsApp

সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও

দশম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হল।

Table of Contents

সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহের সংক্ষিপ্ত পরিচয়

প্রশ্ন:- সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

ভূমিকা :- মুঘল আমলে উত্তর ভারতের হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের বহু সন্ন্যাসী ও ফকির বাংলা ও বিহারে তীর্থভ্রমণে আসত। তাদের অনেকেই এখানে স্থায়ীভাবে বসবাসও শুরু করে। ব্রিটিশ কোম্পানি ও তাদের সহযোগী জমিদারদের শোষণ ও অত্যাচারে বিরুদ্ধে তারা যে বিদ্রোহ করে তা ‘সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ’ নামে পরিচিত।

বিদ্রোহের কারণ

সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহের প্রধান কারণগুলি হল নিম্নরূপ। –

  • (১) কৃষিজীবী সন্ন্যাসী ও ফকিরদের ওপর রাজস্বের বোঝা চাপানো হলে তারা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়।
  • (২) তারা ইজারাদার পত্তনিদার প্রভৃতি মধ্যস্বত্বভোগীর শোষণ ও অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ওঠে।
  • (৩) কোম্পানি তাদের তীর্থযাত্রার ওপর কর বসায়।
  • (৪) কোম্পানি বিভিন্ন সময়ে সন্ন্যাসী ও ফকিরদের বাংলার মধ্যে প্রবেশের জন্য নানা বাধার সৃষ্টি করে।
  • (৫) কোম্পানি সন্ন্যাসী ও ফকিরদের দরগায় যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

বিদ্রোহের সূচনা

১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা জেলায় সন্ন্যাসী ও ফকিররা সর্বপ্রথম বিদ্রোহ শুরু করে।

বিদ্রোহের প্রসার

ক্রমশ এই বিদ্রোহ ধীরে ধীরে ঢাকা, নাটোর, রংপুর, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদহ, বীরভূম, মেদিনীপুর প্রভৃতি জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। এই বিদ্রোহ অন্তত ১৮০২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চলে।

নেতৃত্ব

প্রথমদিকে সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন ভবানী পাঠক, দেবী চৌধুরানি প্রমুখ। বিদ্রোহের শেষদিকে মজনু শাহ, মুশা শাহ, চিরাগ আলি প্রমুখ নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসেন।

বিদ্রোহের অবসান

বিদ্রোহীরা প্রথমদিকে ব্রিটিশবাহিনীর বিরুদ্ধে কিছুটা সাফল্য পেলেও পরবর্তীকালে তারা পিছু হঠতে বাধ্য হয়। ব্রিটিশবাহিনী নিষ্ঠুর দমননীতির দ্বারা বিদ্রোহের মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়। ফলে বিদ্রোহ থেমে যায়।

উপসংহার:- সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ ছিল ভারতে ব্রিটিশ শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে সংঘটিত প্রথম কৃষক বিদ্রোহ। ১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় শুরু হয়ে এই বিদ্রোহ বিক্ষিপ্তভাবে ১৮০২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়ীত্ব লাভ করেছিল।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (তৃতীয় অধ্যায়) প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস তৃতীয় অধ্যায়- প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে সকল সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস তৃতীয় অধ্যায় – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন ও সেই বিষয়ে আদিবাসী জনগণের প্রতিক্রিয়া বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ভূমিকা; প্রসঙ্গত বিদ্রোহ, অভ্যূত্থান ও বিপ্লব-এর ধারণাগত আলোচনা।

৩.১. আদিবাসী বিদ্রোহ

৩.১.ক. চুয়াড় বিদ্রোহ (দ্বিতীয় পর্ব, মেদিনীপুর, ১৭৯৮-৯৯)
৩.১.খ. কোল বিদ্রোহ (১৮৩১-৩২)
৩.১.গ. সাঁওতাল হুল (১৮৫৫-৫৬)
৩.১.ঘ. মুন্ডা বিদ্রোহ (১৮৯৯-১৯০০)

এই বিদ্রোহগুলির অতিসংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ।

টুকরো কথা

রংপুর বিদ্রোহ (১৭৮৩)
ভিল বিদ্রোহ (১৮১৯)

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৩.২. ধর্ম প্রভাবিত বিদ্রোহ

(৩.২.ক.) সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ (১৭৬৩-১৮০০)
(৩.২.খ.) ওয়াহাবি আন্দোলন
(৩.২.গ.) ফরাজি আন্দোলন

এই বিদ্রোহ গুলির অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

টুকরো কথা

(ক) পাগলপন্থি বিদ্রোহ (১৮২৫-২৭)
(খ) তারিখ-ই-মহম্মদীয়া

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৩.৩. নীল বিদ্রোহ

এই বিদ্রোহের অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

টুকরো কথা

পাবনার কৃষক বিদ্রোহ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)।

Leave a Comment