২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ👇

👉Chat on WhatsApp

পাগলপন্থী বিদ্রোহের বিররণ দাও

দশম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে পাগলপন্থী বিদ্রোহের বিররণ দেওয়া হল।

Table of Contents

পাগলপন্থী বিদ্রোহের বিররণ

প্রশ্ন:- পাগলপন্থী বিদ্রোহ সম্পর্কে কী জান ?

অথবা, পাগলপন্থী বিদ্রোহের বিররণ দাও।

ভূমিকা:- উনিশ শতকে বাংলায় যেসব কৃষক আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল সেগুলির মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিল ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দের পাগলপন্থী বিদ্রোহ।

পরিচয়

ময়মনসিংহ জেলার শেরপুর পরগনার রাজবংশী, হাজং, ডালু, মুসলিম-সহ সমাজের বিভিন্ন অংশের লোকেরা ফকির করিম শাহ এবং তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র টিপু শাহেরনেতৃত্বে ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এটি পাগলপন্থী বিদ্রোহ নামে পরিচিত।

আন্দোলনের কারণ

পাগলপন্থী আন্দোলনের কারণগুলি হল ইঙ্গ-ব্রহ্ম যুদ্ধে (১৮২৪-২৬ খ্রি.) ইংরেজদের যে বিপুল পরিমাণ অর্থব্যয় হয়েছিল তা পূরণ করার উদ্দেশ্যে সরকার ময়মনসিংহ জেলার কৃষকদের খাজনার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ব্রিটিশদের সহযোগী জমিদাররাও কৃষকদের ওপর তীব্র শোষণ চালায়। ব্রিটিশ শাসন ময়মনসিংহের চিরাচরিত গ্রামীণ কাঠামো ভেঙে দেয়।

আন্দোলনের প্রসার

করিম শাহ এই বিদ্রোহ শুরু করলেও তাঁরমৃত্যুর পর তাঁর পুত্র টিপু শাহর নেতৃত্বে এই বিদ্রোহ অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে ওঠে। টিপু ৫ হাজার অনুগামী নিয়ে শেরপুরের জমিদারকে আক্রমণ করেন। বিদ্রোহীরা থানায় আগুন লাগিয়ে দেয়, শহরে লুঠপাট চালায় এবং ময়মনসিংহের জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘেরাও করে।

বিদ্রোহীদের ঘোষণা

বিদ্রোহীরা ঘোষণা করে যে, তারাআর জমিদারের আধিপত্য মানবে না। তারা সাময়িক রাস্তা তৈরির কাজ করবে না বা এই কাজে কোনো ধরনের সাহায্যও করবে না। তারা ব্রিটিশ প্রশাসনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখবে না বলেও জানিয়ে দেয়।

জমিদার বিরোধী কৃষক বিদ্রোহ

পাগলপন্থী বিদ্রোহ ছিল অত্যাচারী ব্রিটিশ সরকার ও জমিদারের বিরুদ্ধে এক তীব্র জেহাদ। ঐতিহাসিক উইলিয়াম শেল্ডেন মনে করেন যে, পাগলপন্থীরা এক ধর্মীয় গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিতি পেলেও প্রকৃতপক্ষে এই বিদ্রোহ ছিল জমিদার-বিরোধী কৃষক বিদ্রোহ।

গুরুত্ব

পাগলপন্থী বিদ্রোহ আপাতদৃষ্টিতে ব্যর্থ হলেও এই বিদ্রোহের বিশেষ গুরুত্ব ছিল। এই বিদ্রোহে কৃষকদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে। এই বিদ্রোহ ভবিষ্যতে বড়ো ধরনের বিদ্রোহের পথ প্রস্তুত করে।

উপসংহার :- ধর্মীয় গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত হলেও পাগলপন্থীরা যেভাবে ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক জেহাদ গড়ে তুলেছিল তা সত্যিই বিস্ময়কর। অধ্যাপক বিনয়ভূষণ চৌধুরির মতে পাগলপন্থীদের আন্দোলন জমিদার ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (তৃতীয় অধ্যায়) প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস তৃতীয় অধ্যায়- প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে সকল সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস তৃতীয় অধ্যায় – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন ও সেই বিষয়ে আদিবাসী জনগণের প্রতিক্রিয়া বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ভূমিকা; প্রসঙ্গত বিদ্রোহ, অভ্যূত্থান ও বিপ্লব-এর ধারণাগত আলোচনা।

৩.১. আদিবাসী বিদ্রোহ

৩.১.ক. চুয়াড় বিদ্রোহ (দ্বিতীয় পর্ব, মেদিনীপুর, ১৭৯৮-৯৯)
৩.১.খ. কোল বিদ্রোহ (১৮৩১-৩২)
৩.১.গ. সাঁওতাল হুল (১৮৫৫-৫৬)
৩.১.ঘ. মুন্ডা বিদ্রোহ (১৮৯৯-১৯০০)

এই বিদ্রোহগুলির অতিসংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ।

টুকরো কথা

রংপুর বিদ্রোহ (১৭৮৩)
ভিল বিদ্রোহ (১৮১৯)

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৩.২. ধর্ম প্রভাবিত বিদ্রোহ

(৩.২.ক.) সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ (১৭৬৩-১৮০০)
(৩.২.খ.) ওয়াহাবি আন্দোলন
(৩.২.গ.) ফরাজি আন্দোলন

এই বিদ্রোহ গুলির অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

টুকরো কথা

(ক) পাগলপন্থি বিদ্রোহ (১৮২৫-২৭)
(খ) তারিখ-ই-মহম্মদীয়া

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৩.৩. নীল বিদ্রোহ

এই বিদ্রোহের অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

টুকরো কথা

পাবনার কৃষক বিদ্রোহ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)।

Leave a Comment