২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ👇

👉Chat on WhatsApp

বাংলায় নীল বিদ্রোহের নেতৃত্ব সম্পর্কে আলোচনা

দশম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে বাংলায় নীল বিদ্রোহের নেতৃত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

Table of Contents

বাংলায় নীল বিদ্রোহের নেতৃত্ব সম্পর্কে আলোচনা

প্রশ্ন:- বাংলায় নীল বিদ্রোহের নেতৃত্ব সম্পর্কে আলোচনা কর।

ভূমিকা :- নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ১৮৫৯-৬০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার বিভিন্ন জেলায় নীল বিদ্রোহের প্রসার ঘটে।এই বিদ্রোহে বিভিন্ন স্তরের নেতাকে বিভিন্ন স্থানে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়।

নদিয়ার কৃষক নেতা

নীলবিদ্রোহের কৃষক নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের দিগম্বর বিশ্বাস, বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস এবং আসাননগরের মেঘাই সর্দার। নদীয়ার দিগম্বর বিশ্বাস ও বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস ‘বাংলার ওয়াট টাইলার’ নামে পরিচিত হন।

অন্যান্য জেলার কৃষক নেতা

নদিয়ার বাইরে পাবনার মহেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, খুলনার কাদের মোল্লা, মালদহের রফিক মণ্ডল, বাঁশবেড়িয়ার বৈদ্যনাথ সর্দার ও বিশ্বনাথ সর্দার, সুন্দরবন অঞ্চলের রহিমউল্লা, মল্লিকপুরের পাঁচু শেখ প্রমুখের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিশ্বনাথ সর্দার বিদ্রোহে সক্রিয় নেতৃত্ব দিয়ে ‘বিশে ডাকাত’ নামে পরিচিত হন।

জমিদারদের নেতৃত্ব

বেশ কয়েকজন জমিদারও চাষিদের পাশে দাঁড়িয়ে নীল বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন। এক্ষেত্রে নড়াইলের রামরতন রায়, সাধুহাটির মথুরানাথ আচার্য, রানাঘাটের শ্রীগোপাল পালচৌধুরী, চণ্ডীপুরের শ্রীহরি রায় প্রমুখের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। রামরতন রায় বিদ্রোহে সক্রিয় নেতৃত্ব দিয়ে ‘বাংলার নানাসাহেব’ নামে পরিচিত হন।

শিক্ষিত সমাজের নেতৃত্ব

বাংলার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজের কেউ কেউ নীল বিদ্রোহে পরোক্ষে নেতৃত্ব দেন। হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় দরিদ্র নীলচাষিদের নানা পরামর্শ ও সহায়তা দেন। নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র তাঁর ‘নীলদর্পণ’ নাটকের মাধ্যমে সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।

অমৃতবাজার পত্রিকার ভূমিকা

শিশিরকুমার ঘোষ ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দের ১২ মে নীল বিদ্রোহ প্রসঙ্গে অমৃতবাজার পত্রিকায় লিখেছেন যে, “ইংরেজ রাজত্ব কায়েম হওয়ার পর এটাই ছিল বাংলার প্রথম বিপ্লব। দ্বিতীয় কোনো বিপ্লব হলে তা অনুষ্ঠিত হবে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটদের মৃত্যুহস্ত থেকে জাতির মুক্তির জন্য।”

উপসংহার :- বাংলার বিভিন্ন স্তরের মানুষের অংশগ্রহণে নীল বিদ্রোহ প্রকৃত অর্থেই একটি গণবিদ্রোহে পরিণত হয়। এই বিদ্রোহে শিক্ষিতসমাজের পরোক্ষ নেতৃত্বদান বিদ্রোহকে আরও শক্তিশালী করে।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (তৃতীয় অধ্যায়) প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস তৃতীয় অধ্যায়- প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে সকল সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস তৃতীয় অধ্যায় – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন ও সেই বিষয়ে আদিবাসী জনগণের প্রতিক্রিয়া বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ভূমিকা; প্রসঙ্গত বিদ্রোহ, অভ্যূত্থান ও বিপ্লব-এর ধারণাগত আলোচনা।

৩.১. আদিবাসী বিদ্রোহ

৩.১.ক. চুয়াড় বিদ্রোহ (দ্বিতীয় পর্ব, মেদিনীপুর, ১৭৯৮-৯৯)
৩.১.খ. কোল বিদ্রোহ (১৮৩১-৩২)
৩.১.গ. সাঁওতাল হুল (১৮৫৫-৫৬)
৩.১.ঘ. মুন্ডা বিদ্রোহ (১৮৯৯-১৯০০)

এই বিদ্রোহগুলির অতিসংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ।

টুকরো কথা

রংপুর বিদ্রোহ (১৭৮৩)
ভিল বিদ্রোহ (১৮১৯)

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৩.২. ধর্ম প্রভাবিত বিদ্রোহ

(৩.২.ক.) সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ (১৭৬৩-১৮০০)
(৩.২.খ.) ওয়াহাবি আন্দোলন
(৩.২.গ.) ফরাজি আন্দোলন

এই বিদ্রোহ গুলির অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

টুকরো কথা

(ক) পাগলপন্থি বিদ্রোহ (১৮২৫-২৭)
(খ) তারিখ-ই-মহম্মদীয়া

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৩.৩. নীল বিদ্রোহ

এই বিদ্রোহের অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

টুকরো কথা

পাবনার কৃষক বিদ্রোহ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)।

Leave a Comment