২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ👇

👉Chat on WhatsApp

মুণ্ডা বিদ্রোহের কারণ

দশম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে মুণ্ডা বিদ্রোহের কারণগুলি আলোচনা করা হল।

Table of Contents

মুণ্ডা বিদ্রোহের কারণ গুলি আলোচনা

প্রশ্ন:- মুণ্ডা বিদ্রোহের কারণ গুলি আলোচনা কর।

ভূমিকা :- ভারতের প্রাচীনতম আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায় বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে ১৮৯৯-১৯০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ এক শক্তিশালী বিদ্রোহ শুরু করে। এই বিদ্রোহের বিভিন্ন কারণ ছিল। যেমন –

কৃষি ব্যবস্থায় ভাঙন

আদিবাসী মুন্ডা সমাজে খুঁৎকাঠি প্রথা’র মাধ্যমে জমিতে যৌথ মালিকানা প্রচলিত ছিল। ব্রিটিশ কোম্পানি মুন্ডা অঞ্চলে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে মুন্ডাদের সেই চিরাচরিত প্রথা বাতিল করে জমিতে ব্যক্তিগত মালিকানা প্রতিষ্ঠা করে। তা ছাড়া শস্যের পরিবর্তে নগদ অর্থে খাজনা পরিশোধের নিয়ম চালু করলে মুন্ডারা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়।

সামাজিক ব্যবস্থা বাতিল

ব্রিটিশ সরকার মুন্ডা সমাজে প্রচলিত চিরাচরিত আইন, বিচার ও সামাজিক বিধিব্যবস্থা বাতিল করে দিয়ে মুন্ডাদের ওপর ব্রিটিশ আইন ও বিচারব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়, যা মুন্ডারা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি।

জমি থেকে উৎখাত

উনিশ শতকে মুন্ডা অধ্যুষিত এলাকায় বহিরাগত জমিদার, মহাজন ও ব্যবসায়ীরা প্রবেশ করে। ‘দিকু’ নামে পরিচিত এই বহিরাগতরা সুকৌশলে মুন্ডাদের জমি দখল করে জমি থেকে মুন্ডাদের উৎখাত করতে থাকে।

কর ও সুদ

বহিরাগত জমিদাররা মুন্ডাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের নতুন করের বোঝা চাপিয়ে দেয়। বহিরাগত মহাজনরা মুন্ডাদের কাছ থেকে ঋণের টাকার ওপর চড়া হারে সুদ আদায় করতে থাকে। কর ও সুদের অর্থ আদায় করতে গিয়ে মুন্ডাদের ওপর প্রচন্ড অত্যাচার চলে।

বেগার শ্রমদান

ব্রিটিশ কর্মচারী, বহিরাগত জমিদার, মহাজন ও ঠিকাদাররা ‘বেট বেগারি’ প্রথা অনুসারে মুন্ডাদের বেগার শ্রম দিতে অর্থাৎ বিনা মজুরিতে নানা ধরনের কাজ করতে বাধ্য করে।

ধর্মান্তকরণ

ইউরোপীয় মিশনারি গোষ্ঠীগুলি মুন্ডাদের অধিকৃত এলাকায় প্রবেশ করে তাদের ধর্ম ও ঐতিহ্যের নিন্দা করে এবং মুন্ডাদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করতে থাকে।

শ্রমিক রপ্তানি

বহিরাগত জমিদার, মহাজন, ঠিকাদার, ব্যবসায়ী প্রমুখ মুন্ডা অধিকৃত এলাকা থেকে শ্রমিক সংগ্রহ করে তাদের বাইরে বিভিন্ন কাজে নিয়োগ করে। সেই সব স্থানে মুন্ডা শ্রমিকদের ওপর প্রচন্ড অত্যাচার চালানো হয়।

শিক্ষার প্রসার

মিশনারিদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে মুন্ডা অধ্যুষিত অঞ্চলে আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটতে শুরু করে। এর ফলে মুন্ডারা ক্রমে সচেতন ও সংগঠিত হতে শুরু করে।

উপসংহার :- ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পর থেকেথেকেই মুণ্ডা জাতির সামাজিক অবস্থান ক্রমশ নিম্নগামী হতে শুরু করে। এই অবস্থায় ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে বিরসা ও তার অনুচরেরা রাঁচি, সিংভূম প্রভৃতি জেলায় বিদ্রোহ শুরু করেন।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (তৃতীয় অধ্যায়) প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস তৃতীয় অধ্যায়- প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে সকল সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস তৃতীয় অধ্যায় – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন ও সেই বিষয়ে আদিবাসী জনগণের প্রতিক্রিয়া বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ভূমিকা; প্রসঙ্গত বিদ্রোহ, অভ্যূত্থান ও বিপ্লব-এর ধারণাগত আলোচনা।

৩.১. আদিবাসী বিদ্রোহ

৩.১.ক. চুয়াড় বিদ্রোহ (দ্বিতীয় পর্ব, মেদিনীপুর, ১৭৯৮-৯৯)
৩.১.খ. কোল বিদ্রোহ (১৮৩১-৩২)
৩.১.গ. সাঁওতাল হুল (১৮৫৫-৫৬)
৩.১.ঘ. মুন্ডা বিদ্রোহ (১৮৯৯-১৯০০)

এই বিদ্রোহগুলির অতিসংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ।

টুকরো কথা

রংপুর বিদ্রোহ (১৭৮৩)
ভিল বিদ্রোহ (১৮১৯)

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৩.২. ধর্ম প্রভাবিত বিদ্রোহ

(৩.২.ক.) সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ (১৭৬৩-১৮০০)
(৩.২.খ.) ওয়াহাবি আন্দোলন
(৩.২.গ.) ফরাজি আন্দোলন

এই বিদ্রোহ গুলির অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

টুকরো কথা

(ক) পাগলপন্থি বিদ্রোহ (১৮২৫-২৭)
(খ) তারিখ-ই-মহম্মদীয়া

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৩.৩. নীল বিদ্রোহ

এই বিদ্রোহের অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

টুকরো কথা

পাবনার কৃষক বিদ্রোহ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)।

Leave a Comment