২০২৫ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাস বিষয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাসের সাজেশন্ ভিত্তিক পিডিএফ নোটস্ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুণ👇

👉Chat on WhatsApp

ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ভারতে অরণ্যের ওপর আধিপত্য বৃদ্ধির পদক্ষেপগুলি

দশম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ভারতে অরণ্যের ওপর আধিপত্য বৃদ্ধির পদক্ষেপগুলি উল্লেখ করা হল।

Table of Contents

ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ভারতে অরণ্যের ওপর আধিপত্য বৃদ্ধির পদক্ষেপগুলি

প্রশ্ন:- ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ভারতে অরণ্যের ওপর আধিপত্য বৃদ্ধির পদক্ষেপগুলি উল্লেখ করো।

ভূমিকা :- ব্রিটিশ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারতের আদিবাসী বা উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের অরণ্যের অধিকার কেড়ে নেয় বা ধ্বংস করে। তাদের এই পদক্ষেপ গুলি হল –

(১) ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের অরণ্যসনদ

ব্রিটিশ সরকার ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতে অরণ্য সনদ পাস করে। এর দ্বারা সরকার অরণ্যের কাঠ সংগ্রহ ও কাঠের ব্যাবসার ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। অরণ্যের শাল, সেগুন প্রভৃতি মূল্যবান কাঠ সরকারের সম্পত্তিতে পরিণত হয়। ফলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন ও জীবিকায় টান পড়ে।

(২) বনবিভাগ গঠন

ব্রিটিশ সরকার ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে বনবিভাগ গঠন করে। দিয়েত্রিখ ব্র্যান্ডিস নামে জনৈক জার্মানকে বনবিভাগের ইনস্পেকটর জেনারেল হিসেবে নিয়োগ করা হয়।

(৩) প্রথম অরণ্য আইন

সরকার ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ভারতীয় অরণ্য আইন পাস করে এদেশের অরণ্য সম্পদের ওপর ভারতীয়দের অধিকার খর্ব করে এবং অরণ্যকে সংরক্ষণের আওতায় এনে সেখানে নিজের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করে। সরকার ঘোষণাকরে যে, অরণ্যে ঘেরা যে-কোনো ভূমিই হল সরকারি সম্পত্তি।

(৪) দ্বিতীয় অরণ্য আইন

১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দের দ্বিতীয়অরণ্য আইনের দ্বারা সরকার অরণ্যের ওপর নিজের অধিকার আরও সুপ্রতিষ্ঠিত করে।

উপসংহার :- ব্রিটিশ সরকারের এই সকল পদক্ষেপের ফলে অরণ্যের ওপর নির্ভরশীল ভারতের আদিবাসী সম্প্রদায় তাদের শতসহস্র বছরের অরণ্যের অধিকার হারিয়ে এক চরম দুর্দশার শিকার হয়। ফলে তারা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের পথে পা বাড়ায়।এইসব বিদ্রোহগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল চুয়াড় বিদ্রোহ, কোল বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ, মুন্ডা বিদ্রোহ, ভিল বিদ্রোহ প্রভৃতি।

দশম শ্রেণীর ইতিহাস (তৃতীয় অধ্যায়) প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে অন্যান্য সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস তৃতীয় অধ্যায়- প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ হতে সকল সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি দেওয়া হল।

দশম শ্রেণী ইতিহাস সিলেবাস তৃতীয় অধ্যায় – প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন ও সেই বিষয়ে আদিবাসী জনগণের প্রতিক্রিয়া বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ভূমিকা; প্রসঙ্গত বিদ্রোহ, অভ্যূত্থান ও বিপ্লব-এর ধারণাগত আলোচনা।

৩.১. আদিবাসী বিদ্রোহ

৩.১.ক. চুয়াড় বিদ্রোহ (দ্বিতীয় পর্ব, মেদিনীপুর, ১৭৯৮-৯৯)
৩.১.খ. কোল বিদ্রোহ (১৮৩১-৩২)
৩.১.গ. সাঁওতাল হুল (১৮৫৫-৫৬)
৩.১.ঘ. মুন্ডা বিদ্রোহ (১৮৯৯-১৯০০)

এই বিদ্রোহগুলির অতিসংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ।

টুকরো কথা

রংপুর বিদ্রোহ (১৭৮৩)
ভিল বিদ্রোহ (১৮১৯)

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৩.২. ধর্ম প্রভাবিত বিদ্রোহ

(৩.২.ক.) সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ (১৭৬৩-১৮০০)
(৩.২.খ.) ওয়াহাবি আন্দোলন
(৩.২.গ.) ফরাজি আন্দোলন

এই বিদ্রোহ গুলির অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

টুকরো কথা

(ক) পাগলপন্থি বিদ্রোহ (১৮২৫-২৭)
(খ) তারিখ-ই-মহম্মদীয়া

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)

৩.৩. নীল বিদ্রোহ

এই বিদ্রোহের অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ

টুকরো কথা

পাবনার কৃষক বিদ্রোহ

(আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক ছবি, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন প্রভৃতি, আলোচ্য বিদ্রোহগুলির সময়কাল উল্লেখসহ মানচিত্রে সেগুলির অঞ্চল চিহ্নিতকরণ, বিদ্রোহগুলির সময়সারণি)।

Leave a Comment